• আলুর দামে ছেঁকা, নাজেহাল গেরস্ত
    আনন্দবাজার | ০৪ জুন ২০২৪
  • চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই চড়তে শুরু করেছিল সব ধরনের আলুর দাম। মাঝে সেই চড়া দাম কিছুদিন থিতু থাকার পর দিন চারেক ধরে অল্প অল্প করে ফের খোলা বাজারে বাড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন এই মুহূর্তে নানা কারণে বাজারে আলুর জোগান, চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। এই পরিস্থিতিতে আপাতত আলুর দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

    খুচরো এবং পাইকারি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন গত চারদিনে আলুর বস্তা পিছু দাম বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে যে চন্দ্রমুখী খুচরো বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সেই চন্দ্রমুখী জায়গা বিশেষে ৩৭-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সোমবার চন্দ্রমুখী আলুর বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৪৫০ টাকা দরে। অন্যদিকে ভাল মানের জ্যোতি আলুর দাম ছিল বস্তা পিছু ১৩০০-১৩২০ টাকা। দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলু চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই দায়ী করছেন গত শীতের অস্বাভাবিক বৃষ্টিকে। চাষিদের বক্তব্য, নভেম্বর মাসে আলু লাগানোর সময় একের পর এক নিম্নচাপের জেরে প্রথম বারের আলু নষ্ট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে চাষিদের অনেকে জানুয়ারিতেও বুনেছেন আলু। কিন্তু বিলম্বের কারণে ফলন কম হয়েছে এবং আলুর মানও খারাপ হয়েছে। সব মিলিয়ে শুরু থেকেই আলুর বেহাল দশা এবার।

    পাইকারেরা জানাচ্ছেন নানা কারণে আলুর দামের এই বৃদ্ধি। প্রাকৃতিক কারণে ফলন কম। তার উপর পড়শি বাংলাদেশে প্রচুর আলু রফতানি হচ্ছে। পাশাপাশি এই কদিনে আলুর দামবৃদ্ধির পিছনে ভোটেরও ভূমিকা আছে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সঞ্জীব কুণ্ডু। তিনি বলেন, “ এখন স্টোরের আলুর ওপর বাজার দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের বেশির ভাগ স্টোরের কর্মী দুই ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাঁরা সবাই ভোট দিতে বাড়ি চলে গিয়েছেন। ফলে এখন কার্যত স্টোর থেকে আলু বের করার লোক নেই। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান অনেক কম। দাম স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়বে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)