• ধূলাগড়ে গিয়ে খুন বারাসতের ট্রাকচালক
    আনন্দবাজার | ০৪ জুন ২০২৪
  • ট্রাক নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন গত শনিবার। আর ফেরেননি। সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা, সন্দীপ সাউ (৪৭) নামে ওই ট্রাকচালকের রক্তাক্ত দেহ মিলল হাওড়ার ধূলাগড়ের একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের ভিতর। একটি ট্রাকের পাশে পাতা চাটাইয়ের উপর পড়েছিল দেহটি।

    পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির দেহে একাধিক জায়গায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে পিঠে ও কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর পরিবার সন্দীপকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে, ঠিক কী কারণে, কে বা কারা খুন করল, তা নিয়ে পুলিশ ও সন্দীপের পরিবারের লোকেরা ধন্দে।

    হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ট্রাকচালকেরা ওখানে রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার সময় কোনও বিষয়ে বচসা-মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। আর তার জেরেই এই খুন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ একটি সংস্থার হয়ে ট্রাকে করে পণ্য নিয়ে গিয়ে তা ওঠানো-নামানোর কাজ করতেন।

    রবিবার রাতে সেই কাজেই ধূলাগড়ের ওই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে তিনি ট্রাক নিয়ে আসেন। গত শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সন্দীপ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।

    রবিবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ ফোনে তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, রাতেই ফিরবেন। কিন্তু রাত ১০টার পরেও না ফেরায় তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু ফোনে পাওয়া যায়নি। নিহতের এক আত্মীয় জানান, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ তাঁরা পুলিশের কাছ থেকে ফোনে সন্দীপের মৃত্যুসংবাদ পান। তাঁরা সন্দীপের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ জানান। তদন্তে আসেন সাঁকরাইল থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের অফিসাররা। সন্দীপ খুন হলেও তাঁর ট্রাক থেকে কোনও পণ্য চুরি যায়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

    নিহতের পরিবারের দাবি, সন্দীপের কোনও শত্রুও ছিলে না। তাই কেন তাঁকে খুন হতে হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সন্দীপের স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে আছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)