বাড়ির কাছেই প্রতিবেশী মদ্যপ যুবকের হাতে এক শিক্ষকের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগকে ঘিরে রবিবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির কৃষ্ণপুরের শান্তি পল্লিতে। প্রহৃত মানিক বর্মণকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি বিজেপি নেতা হওয়ায় ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। অভিযুক্ত অতনু দাস ওরফে বুবাইকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক বলাগড়ের একটি হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। তিনি বিজেপির তফসিলি মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক। তাঁর পরিবারের তরফে অতনুর বিরুদ্ধে মদ খেয়ে মানিককে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। মানিকের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনার রাতেই অতনুর বাড়িতে চড়াও হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও বুবাইকে না পেয়ে তাঁরা ফিরে যান।
বিজেপির দাবি, একদা সিপিএম করা বুবাই বর্তমানে তৃণমূল করে। তাদের অভিযোগ, মানিক বিজেপি করে বলেই তাঁকে মারধর করেছে বুবাই। যদিও বুবাইয়ের বাবা বাদল বলেন, ‘‘লোকমুখে শুনলাম, ছেলে নাকি মানিককে মারধর করেছে! আমি দেখিনি। তবে, বুবাই কোনও দিনই তৃণমূল করেনি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমি ও ছেলে সক্রিয় ভাবে সিপিএম করতাম। তবে, বিধানসভা ভোটের পর থেকে আর সক্রিয় ভাবে না করলেও সিপিএমেরই সমর্থক আমরা।’’
হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে মানিকও বলেন, ‘‘বুবাই সিপিএম করত। কোনওদিন তৃণমূলের সঙ্গে দেখিনি। তবে, কী কারণে আমাকে মারল, বলতে পারব না। তবে, ও ভাল ছেলে নয়। ও মদ খেলেই অশান্তি করে।’’
তৃণমূলের কোদালিয়া ২ অঞ্চল সভাপতি অসিত মাজির দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তাঁর কটাক্ষ, "ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরে বিজেপি সব কিছুতেই তৃণমূলের ভূত দেখছে।’’