• কোন অঙ্কে উত্তরপ্রদেশে সপা-র এত ভাল ফল? bangla.aajtak.in-এ এক্সক্লুসিভ কিরণময় নন্দ
    আজ তক | ০৪ জুন ২০২৪
  • উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির ঝড়। বেলা ১২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত ৩৪টি আসনে এগিয়ে সপা। বিজেপি এগিয়ে ৩৬টি আসনে। আশাবাদী সমাজবাদী পার্টি। দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকার গড়বে সমাজবাদী পার্টিই। এবং এই ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল। এই নির্বাচনে মানুষের ভোট পড়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবং দলের আশা ইন্ডিয়া জোটই সরকার গড়বে। সপার অভিযোগ, বিজেপি মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি বলেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মানুষ। 

    দলের সহ-সভাপতি ও সাংসদ কিরণময় নন্দ মঙ্গলবার 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে ফোনে বললেন, 'ভোটবাক্সে সমাজবাদী ঝড়ই উঠছে। লখনউয়ের তখতে ফের অখিলেশের ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছে তাঁর। অখিলেশকে  সামনে রেখে ভোটে লড়ায় মানুষ খুশি। অখিলেশ যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আমরা প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কোনও কাজ করেনি। ধর্মকে সামনে রেখেই রাজনীতি হয়েছে। আমাদের সরকার হলে প্রধানমন্ত্রী অখিলেশই হবেন। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম বিজেপি এখানে পর্যদুস্ত হবে।'

    রামলালার মন্দিরের কোনও প্রভাবই কি ভোটবাক্সে পড়ল না? এই প্রশ্নের উত্তরে অখিলেশের বাঙালি সেনাপতি কিরণময় বললেন, 'মানুষের কাছে রামমন্দির কোনও বিষয়ই না। ওটা বিজেপিরই একটা ইস্যু বানিয়েছিল। মানুষের কাছে ইস্যু হল কর্মসংস্থান, জিনিসপত্রের দাম, স্বচ্ছ প্রশাসন। এর কোনও কাজটাই বিজেপি করতে পারেনি। কিন্তু অখিলেশ যাদব যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এগুলো আমরা করে দেখিয়েছি। যেকারণে তাঁরা বিজেপি হটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় এলে সবার আগে কর্মসংস্থানের দিকে খেয়াল রাখা হবে। আর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা হবে।'

    উল্লেখ্য, সমাজবাদীর হাত থেকে হিন্দি বলয়ের প্রধানতম রাজ্য ছিনিয়ে নিতে নজর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুন্ডাগিরি, দুর্নীতি, নোটবন্দি ও কৃষক— এই চার অস্ত্রে অখিলেশ-কংগ্রেসের জোটকে বিঁধেছিলেন তিনি। সমাজবাদী পার্টির তরফে কিরণময়বাবুর ওপরে দায়িত্ব ছিল, মোদীর ওই আক্রমণের মোকাবিলা করা। রাজ্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘুরে অসংখ্য প্রচার কর্মসূচী করেছেন তিনি। জেতার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। বুধবারই কলকাতায় আসছেন তিনি। কিছু দলীয় কাজ রয়েছে তাঁর। তবে এই ফলের গোটা কৃতিত্বই তিনি অখিলেশ যাদবকে দিয়েছেন তাঁর বাঙালি সেনাপতি।
  • Link to this news (আজ তক)