• উত্তরপ্রদেশে উঠে আসছে সপা-কংগ্রেস, কাজ করেনি রামমন্দির-সহ এইসব ফ্যাক্টর
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় রাজনীতিতে ইউপি যার দিল্লি তার। এমনটাই যেন নিয়ম। লোকসভা ভোটের আগে উত্তর ভারতে চলছিল মোদী লহর। এমনকি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও ছিল সেই ঢেউ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনের যে প্রবণতা বেরিয়ে এসেছে তাদের ভালো অবস্থায় নেই গেরুয়া শিবির। বুলডোজার বাবা থেকে রামমন্দির, উন্নয়ন থেকে দুর্ৃত্তের বিনাশ কোনও কিছুই খুব বেশি কাজে আসনি বলে মনে হচ্ছে। বরং সেখানে কাজ করেছে বিরোধীদের ইউপি কা লেড়কা। কাজ করেনি মায়বতী ফ্যাক্টর।

    ভোট গণনা কয়েক ঘণ্টা এগিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে সপা ও কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের ৮০ আসনের মধ্যে ৪৩টিতে। এনডিএর হিসেব ছিল ৩৬ ভোটে এগিয়ে থাকতে পারে বিরোধীরা। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুয়ায়ী এবারও বিজেপি ৬০ এর বেশি আসন পেতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। সপ্তম দফার গণনা হয়ে গিয়েছে। এরপর খুব বেশি বদল হবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখনওপর্যন্ত গোটা দেশের প্রবণতা অনুয়ায়ী এনডিএ পেতে চলেছে ২৯৬ আসন, ইন্ডিয়া ব্লক পেতে চলেছে ২৩০ আসন এবং অন্যান্যরা পেতে পারে ৩১ আসন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই ফলাফলের পেছনে কাজ করেছে কী ফ্যাক্টর?রাম মন্দিরভোট ঘোষণার আগে রামমন্দিরের দরজা খুলে দেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ভোটের ফলাফলের প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে অযোধ্যা অর্থাত্ ফৈজাবাদ আসনেও এগিয়ে সপা প্রার্থী। সেখানে সপা প্রার্থী অবধেশ প্রসাদ ২০ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীর থেকে এগিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি ৭ আসনের মধ্য়ে ২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। এদের মধ্যে কংগ্রেস ২টিতে ও ৩টিতে এগিয়ে সপা।ইপি কে লেড়কেবিজেপি রাম মন্দির, সামাজিক ন্যায়, উন্নয়নের কথা বললেও উত্তর প্রদেশে এবার মানুষের মন কড়েছে সপার স্লোগান ইউপি কে লড়কে। রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব একসঙ্গে প্রচারে গেলে মানুষ তাদের ইউপি কা বেটা বলেই মেনেছেন। এই ট্রেন যদি চলতে থাকে তাহলে বলতে হয় ইউ কা স্লোগান স্লোগান কাজ লেগেছে।মায়াবতী ফ্য়াক্টর২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে একেবারে সাফ হয়ে যায় মায়াবাতীর বহুজন সমাজ পার্টি। ২০১৯ সালে তারা ১০টি আসন পায় বসপা। কারণ তাদের জোট ছিল সপার সঙ্গে। এবার বসপা একলা লড়াই করছে। সপা গিয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে। আজকের গণনায় ৪ ঘণ্টার পর কোনও আসনে এগিয়ে নেই তারা।  এক্ষেত্রে নাগিনা আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে এগিয়ে রয়েছেন দলিত নেতা চন্দ্রশখর আজাদ। তিনি জিতলে মায়বতীর ক্ষেত্রে বড় ক্ষতির কারণ হবে।  তবে গুরুকত্বপূর্ণ বিষয় হল মায়াবতী ফ্য়াক্টর ভালো কাজ করেনি এই নির্বাচনে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)