মোদীর থেকে মুখ ফেরাল অযোধ্যা? ফৈজাবাদ আসনে পিছিয়ে বিজেপি, বাজিমাতের পথে অখিলেশের এসপি
আনন্দবাজার | ০৪ জুন ২০২৪
রামমন্দিরের কেন্দ্রে ভরাডুবি হতে চলেছে মোদীর দলের। বিজেপি সেখানে প্রার্থী করেছিল লালু সিংহকে। তার উল্টো দিকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী ছিলেন এসপির অবধেশ কুমার। মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর সকাল থেকেই অবধেশ এবং লালুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ের গণনায় ক্রমশ লালুকে পিছনে ফেলে এগোতে থাকেন অবধেশ। শেষ হাসি হাসার পথেও তিনিই।
এ বারের লোকসভা ভোটে অযোধ্যার রামমন্দিরকে বড় ‘ইস্যু’ করে তুলতে চেষ্টার কসুর করেনি বিজেপি। ভোটের ঠিক আগে মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে সর্বাগ্রে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দেশ জুড়ে ঘরে ঘরে চাল সংগ্রহ অভিযান করেছিল। সব মিলিয়ে, মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল যে, অন্তত উত্তরপ্রদেশে বইবে মোদী-হাওয়া। বুথফেরত সমীক্ষাতেও একাধিক সংস্থা উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিল রামমন্দিরকে কেন্দ্র করেই। সোমবার পর্যন্ত সেই তত্ত্বে ভরসা রেখেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। কিন্তু মঙ্গলবার কোনও মঙ্গল-সংবাদ দিল না বিজেপিকে। উল্টে লালুর হার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, রামমন্দিরের কেন্দ্রেও বিজেপি আর অপরিহার্য রইল না। বস্তুত, গোটা দেশেই বিজেপির ফল খুশি করতে পারেনি পদ্মশিবিরের নেতাদের। রামমন্দিরের কাঁধে চেপে যে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি এ বার গেরুয়া সুনামির প্রত্যাশা করেছিল, তা হল না। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে এ বার ‘ইন্ডিয়া’র কাছে বিজেপির পিছিয়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা ছিল এত দিন ভাবনার বাইরে। কিন্তু হয় না যেটা, সেটাও হল সেই উত্তরপ্রদেশেই।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে মোট ২০টি আসনে। জিতে গিয়েছে ১২টি আসনে। অন্য দিকে, অখিলেশের এসপি এগিয়ে রয়েছে ২৮টি আসনে। জয়লাভ করেছে ১০টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে চারটি আসনে। জিতেছে দু’টি আসনে। এই হিসাব থেকেই পরিষ্কার, উত্তরপ্রদেশে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যদিও প্রবণতার দিক থেকে এনডিএর চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।