সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সবুজ ঝড়। সিংহভাগ আসনে বড় ব্যবধানে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বিজেপির আসন কমেছে ২০১৯-এর তুলনায়। মঙ্গলবার এই রেজাল্ট আউটের পর সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে ভোটগণনা নিয়ে আপত্তি তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট অভিযোগ, নন্দীগ্রামে গণনায় যা ঘটেছিল, সেই কারচুপিই হয়েছে তমলুকে। আর কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এর তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি দিল্লির লড়াইয়ে শাসকদলের উপর আস্থা রাখার জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের কর্মীদের প্রতি প্রকাশ করেছেন কৃতজ্ঞতা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল চব্বিশের লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে। দুপুর গড়াতেই বাংলার বিধান স্পষ্ট হয়ে যায়। ২৯ আসনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। সন্ধেবেলা কালীঘাটের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়া দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মমতা অভিযোগ, "কাঁথি-তমলুকে ভোট হয়নি, রিগিং হয়েছে। কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জেতার পর জেলার অবজার্ভার সার্টিফিকেট দিচ্ছেন না। নন্দীগ্রামের ভোটে যা হয়েছিল, তমলুকেও তাই হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের কাছে রাজ্য পুলিশকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেয়নি।" এই অভিযোগ করে হুঁশিয়ারির সুরেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আমি এর বদলা নেব।"
উল্লেখ্য, কাঁথি ও তমলুক কেন্দ্র এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। দুটি আসনেই জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। আর সেই ফলাফলের উপরই সন্দেহ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, আরও ৩ থেকে ৪ আসন বেশি জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু গণনায় কারচুপির জেরে ফলাফল স্বচ্ছ হয়নি। তাই পুনর্গণনার দাবিও তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী।