• China Covid Protest: BBC-র সাংবাদিককে লাথি! গণবিক্ষোভ লুকোতে মুখ বন্ধের চেষ্টা চিনের
    এই সময় | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • গণবিক্ষোভ বন্ধ করার নামে অত্যাচারের অভিযোগ। আর সেই খবর সংগ্রহে গিয়ে বিপাকে BBC-র সাংবাদিক। হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে গেল চিনের নিরাপত্তা বাহিনী। শুধু তাই নয়, তাঁদের সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ BBC-র। আক্রান্ত ওই সাংবাদিকের নাম এডওয়ার্ড লরেন্স। বেজিং তাঁকে গ্রেফতার করতেই এই নিয়ে বিবৃতি দেয় ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। সেখানে বলা হয়েছে, “সাংহাইয়ের গণবিক্ষোভের খরব সংগ্রহে গিয়েছিলেন লরেন্স। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর হাতকড়া পরিয়ে টানতে টানতে তাঁকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল।” এই ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই BBC-র তরফে দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থার দাবি, “লরেন্সের কাছে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড রয়েছে। তার পরও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই তাঁকে গ্রেফতার করে চিনের নিরাপত্তা বাহিনী। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর উপর শুরু হয় অত্যাচার।” কিল-চড়ের পাশাপাশি লরেন্সকে লাথিও মারা হয়েছে বলে দাবি করেছে BBC। দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয় চিনা নিরাপত্তা বাহিনী।

    গত কয়েকদিন ধরেই লকডাউন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চিনে। সাংহাইতে চলছে গণবিক্ষোভ। কিন্তু প্রবল প্রতিবাদ-আন্দোলন সত্ত্বেও জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসতে রাজি নন চিনা প্রেসিডেন্ট Xi Jinping। এই অবস্থায় Jinping বিরোধী স্লোগান উঠতে শুরু করেছে চিনে। গত রবিবার সাংহাইয়ের উরুমকিতে জমায়েত করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে স্লোগান ওঠে, ‘শি জিনপিং নিপাত যাক। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নিপাত যাক।’ আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে লকডাউন তুলতে হবে। শিনজিয়ান, সাংহাই সমস্ত জায়গায় কেন সবাইকে গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে? বিশ্বজুড়ে যেখানে অতিমারী কমছে, জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে, সেখানে এই পদক্ষেপ কেন করছে বেজিং? প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। এর পাশাপাশি, এই আন্দোলন থেকেই উঠেছে মুক্তির স্লোগানও। “চিনের শাসনমুক্ত শিনজিয়ান-সাংহাই চাই।” দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।

    এই গণবিক্ষোভের মধ্যেই এবার সামনে এল BBC-র সাংবাদিককে গ্রেফতারির ঘটনা। যা নিয়ে চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে এই নিয়ে বেজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। “সরকারিভাবে এখনও এই ঘটনায় কোনও ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়নি। আমাদের সাংবাদিকরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।” বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে BBC।

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে এই গণবিক্ষোভ ঠেকানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রেসিডেন্ট Xi Jinping-র কাছে। সাংহাই থেকে আন্দোলন দেশের একাধিক প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় নজর ঘোরাতে Jinping তাইওয়ান আক্রমণের নির্দেশ দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
  • Link to this news (এই সময়)