• ভোটে জেতার পর স্বামী প্রবালের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচল রচনার? 'প্রাক্তন' সিদ্ধান্তকেও দিলেন বার্তা
    আজ তক | ০৫ জুন ২০২৪
  • ৭-৮ বছর আগের কথা। একটি রিয়্যালিটি শোয়ে অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক প্রশ্নের জবাবে স্ত্রী হিসাবে নিজেকে 'জিরো' দিয়েছিলেন হুগলির সদ্য জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। তারপরে একাধিক সাক্ষাৎকারে রচনা অকপটে জানিয়েছিলেন, স্বামী প্রবাল বসুর সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কথা। কাট টু ২০২৪। প্রথমবার ভোটযুদ্ধে শামিল হলেন রচনা। ভোটের প্রচারের প্রথম দিন থেকেই রচনার 'ছায়াসঙ্গী' তাঁর স্বামী প্রবাল। তা হলে কি স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব ঘুচল? হুগলিতে জয়ের পর এই নিয়ে bangla.aajtak.in-এ মনের কথা জানালেন দিদি নং ১। শুধু তাই নয়, একদা তাঁর পর্দার হিরো এবং 'প্রাক্তন' সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে দিলেন বিশেষ বার্তাও। 

    স্বামীর সঙ্গে কি দূরত্ব ঘুচল? এই প্রশ্ন করতেই রচনা বললেন, 'উই আর অলওয়েজ ভেরি গুড ফ্রেন্ডস। আমরা হয়তো একসঙ্গে থাকি না। আমরা কিন্তু বরাবরই ভাল বন্ধু। আমরা দেখেছিলাম, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা রাখলে সম্পর্কটা ভাল থাকছে। এটা আরও একবার প্রমাণিত। আজ যখন একটা কাজে নেমেছি, সে আমার পাশে থেকেছে। সেটা আরও একবার প্রমাণিত যে,আমরা ভাল বন্ধু। হতে পারে একসঙ্গে থাকলে খটাখটি লাগে। বন্ধু হিসাবে থাকল অনেক বেটার থাকা যায়। সেটা আবার প্রমাণিত হল যে, স্বামী-স্ত্রী ভাল বন্ধু হতে পারে। আমার পাশে দাঁড়িয়েছে ও, খুবই থ্যাঙ্কফুল। তার যখন কোনও প্রয়োজন হবে, অবশ্যই আমিও পাশে থাকব।'

    রচনার জয়ের নেপথ্যে স্বামী প্রবালের বড় ভূমিকা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে রচনা বলেন, ' স্বামী প্রচুর খেটেছে। আমার এক দাদাও প্রচুর খেটেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তারা যদি না থাকতো, তা হলে সম্ভব হত না। দু'জনে মিলে সবসময় কাজ করে গিয়েছে।' 
     
    ২০০৭ সালে প্রবালের সঙ্গে বিয়ে হয় রচনার। সেই সময় টলিপাড়ায় প্রসেনজিতের সঙ্গে মূলত জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন। কেরিয়ারে সাফল্যের চূড়ায় থাকার সময়ই সাত পাকে বাঁধা পড়েন রচনা। রচনা এবং প্রবালের পুত্র সন্তান রয়েছে। তার নাম প্রণীল বসু। তবে রচনার সঙ্গে তাঁর স্বামীর দূরত্ব 'রচনা' হয় বিয়ের কয়েক বছর পর। একথা বহু সাক্ষাৎকারে নিজে মুখেই জানিয়েছিলেন রচনা। তবে তাঁদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে, সে কথাও বলেছিলেন। 

    অন্য দিকে, কেরিয়ারের শুরুতে বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ছবিতেও দাপিয়ে কাজ করেছেন রচনা। ওড়িয়া ছবির সুপারস্টার সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দেন রচনা। পর্দার প্রেম বাস্তবেও রূপ পেয়েছিল বলে শোনা গিয়েছিল। রচনা-সিদ্ধান্তের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করেন। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, রচনা-সিদ্ধান্তের বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেই বিয়ে নাকি বেশিদিন টেকেনি। তবে এই ব্যাপারে তাঁরা কেউই কখনও সেভাবে মুখ খোলেননি। রচনার অনেক আগেই রাজনীতিতে পদার্পণ করেছেন সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি বিজেডি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ওড়িয়া ছবির সুপারস্টার। ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে দিগাপাহান্ডি কেন্দ্রে জিতেছেন সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে রচনার বার্তা, 'ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন আমার থেকে।'
  • Link to this news (আজ তক)