• বোলপুরে উলটপুরাণ, নিজের পাড়াতেই কেষ্টকে হারাল বিজেপি!
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ জুন ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ মালাকার: বোলপুর লোকসভায় বিশাল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হলেও, নিজের ঘরেই হারের মুখ দেখলেন অনুব্রত মন্ডল ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে  তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল ৩ লক্ষ  ২৭ হাজার  ২৫৩ ভোটে জয়লাভ করেছেন। যা বোলপুর লোকসভার ইতিহাসে সবথেকে বেশি সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। ইতিমধ্যেই এই জয়ের আনন্দে মত্ত বোলপুর এলাকার সমস্ত তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিপুল ভোটে জয়লাভ হলেও বোলপুরের  তৃণমূল নেতৃত্বের কার্যত মাথায় হাত পড়েছে বোলপুর পুরসভা এলকায় ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই।বোলপুর পুরসভায় বসবাস করেন বীরভূম জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ। বোলপুরের নিচু পট্টি এলাকায় ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই দুই নেতার বাড়ি। সব থেকে বড় বিষয় হল সেখানেই হারের মুখ দেখতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে। জানা গিয়েছে, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৬৫ ভোটে পরাজিত হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই ওয়ার্ডেই বাড়ি অনুব্রত মণ্ডলের। আর এখানেই বিজেপি সর্বাধিক ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে ঠিক তার পাশের ওয়ার্ড ২১ নম্বরে বসবাস করছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। সেই ওয়ার্ডেও তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রায় ৭ ভোটে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    বোলপুর লোকসভায় বিশাল ভোটে জয়ী হওয়ার পরেও বোলপুর পুরসভা এলাকাতেই এই ২ তৃণমূল নেতার ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের হারের তথ্য সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা দাবি করেছেন, সব জায়গায় যদি সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হত, তাহলে এভাবেই  তৃণমূল কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলে দিত সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা দাবি করেছেন, এই পরাজয়ের বিষয়টিতে আগামীতে তারা নিশ্চয়-ই বিশ্লেষণ করে দেখবেন। খতিয়ে দেখবেন যে কেন এমন হল।তবে বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও অনুব্রত মণ্ডলের ওয়ার্ডে তৃণমূলের হার নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিশাল জয়ে মুখে হাসি ফুটলেও, বোলপুর পুরসভা এলাকায় এই রেজাল্ট যে বুকে ব্যথা দিচ্ছে সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)