• কেন্দ্র বদলে হার, তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠকে দিলীপ-প্রসঙ্গ!
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ জুন ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে দিলীপ-প্রসঙ্গ! বলা হল, 'দিলীপ ঘোষের সাথে আদর্শগত ফারাক আছে। কিন্তু কাঠিবাজি করে তাকে অন্য জায়গায় লড়তে পাঠাল। জেতায় আমরা খুশি, কিন্তু দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কাঠিবাজি করা হয়েছে'। সূত্রের খবর তেমনই।

    দলের রাজ্য সভাপতি তখন দিলীপ। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ফল ছিল চমকপ্রদ। ১৮ আসনে জিতেছিল গেরুয়াশিবির। তৃণমূলের দখলে ছিল ২২ আসন। এবার উল্টো ফল! এক্সিট পোলকে ভুল প্রমাণ করে যখন ২৯ আসনে জিতল তৃণমূল, তখন বিজেপির ঝুলিতে মাত্র  ১২ আসন! এমনকী, হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে গতবারের জেতা আসনও।এদিকে ২০১৯-এ যে আসন থেকে জিতেছিলেন বিজেপির বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি, ২০২৪-এ সেই মেদিনীপুরে প্রার্থী ছিলেন অগ্নিমিত্র পল।  বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে ভোট লড়েছিলেন দিলীপ, কিন্তু জিততে পারেননি। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশিত। আজ, বুধবার অভ্য়ন্তরীণ বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে ওঠে দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, 'বিজেপিতে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। এক গোষ্ঠী লোক আর এক গোষ্ঠীর লোককে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন, হারিয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি এমনই যে, খোদ মোদী-শাহের নেতৃত্বও প্রশ্নের মুখে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে'।তৃণমূল নেতৃত্বের আরও বক্তব্য, লোকসভা ভোটে দলের ৩৮ শতাংশ মহিলা প্রার্থীই জিতেছেন। যা গোটা দেশে নজির। মহিলার সাংসদ ১১ জন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মহিলাদের প্রধান্য দেন, এটা তার প্রমাণ। স্রেফ পর্যালোচনা নয়, লোকসভা ভোটের বুথভিত্তিক ফলাফলও বিশ্লেষণ করা হয়। বলা হয়, যেখানে আসন কমেছে, সেখানে কেন কমেছে, তা খতিয়ে দেখ মেরামত করা হবে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)