Indian Football: ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভারতীয় ভাবছেন স্টিমাচ...
আজকাল | ০৬ জুন ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পথ মসৃণ ছিল না। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যাবতীয় বাধা অতিক্রম করে ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার কুয়েতকে হারালেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যাবে ব্লু টাইগার্স। যা দৃষ্টান্ত। তারওপর সুনীল ছেত্রীর শেষ ম্যাচ। সব মিলিয়ে ম্যাচটা একটা অন্য মাত্রা নিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের আইকনের বিদায়ী ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে চান সবাই। সেই তালিকায় আছেন ইগর স্টিমাচও। ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ বলেন, 'জাতীয় দলের জার্সিতে আমাদের অধিনায়কের শেষ ম্যাচ উপলক্ষকে আরও বড় করে তুলেছে। তবে কুয়েতের বিরুদ্ধে ভারতকে জিততে হবে। আমরা সেদিকেই ফোকাসড। এবছর কুয়েতের সঙ্গে আমাদের তিনটে কঠিন ম্যাচ হয়েছে। যে কেউ জিততে পারত। তবে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে আমরা সবচেয়ে ভাল খেলেছিলাম। বৃহস্পতিবার তার পুনরাবৃত্তি চাই।' তারকা ফুটবলারের অবসর ঘোষণার পর সবটাই ছিল সুনীলময়। ড্রেসিংরুম থেকে মাঠ, একটাই নাম। কুয়েতের বিরুদ্ধে জয় সুনীলকে উৎসর্গ করতে চায় তাঁর সতীর্থরা। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ড্রেসিংরুমে আবেগের বিস্ফোরণ কীভাবে সামলাচ্ছেন স্টিমাচ? ক্রোট কোচ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই পরিস্থিতি এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছে তাঁরা। ফোকাস যাতে না নড়ে যায়, সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে। স্টিমাচ বলেন, 'মাইন্ডসেটই আসল। ফোকাস ধরে রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্টকে আনা হয়েছে ক্লাস নেওয়ার জন্য। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আবেগ ধরে রাখতে হবে। এই আবেগ নিয়ে বেশি চর্চা করছে মিডিয়া এবং ফ্যানরা। আমাদের ফোকাস ম্যাচে।' ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলের হয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য ম্যাচ খেলেছেন ভারতের কোচ। বিভিন্ন দেশে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কিন্তু কুয়েত ম্যাচকে নিজের ফুটবলার এবং কোচিং জীবনের সেরা বাছলেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। জানালেন, নিজেকে ভারতীয় ভাবতে শুরু করেছেন তিনি। স্টিমাচ বলেন, 'আমি বিদেশি হলেও নিজেকে ভারতীয় মনে হচ্ছে। দায়িত্ব নেওয়ার সময় পেশার সঙ্গে আবেগ মেলাতে চাইনি। কিন্তু নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। আমার ফুটবলার এবং কোচিং জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এক শতাংশ মানুষকে খুশি করতে পারলেই আনন্দ হয়। সেখানে এবার ১.৫ মিলিয়নকে খুশি করার সুযোগ রয়েছে।' শেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে গোল করতে পারেনি ভারতীয় দল। কুয়েতের বিরুদ্ধেই শেষ ফিল্ড গোল এসেছিল। গোল করেন মনবীর। তারপর থেকে সুনীলের একটি পেনাল্টি ছাড়া গোল করতে পারেনি ভারত। তবে সেই নিয়ে ভাবিত নন স্টিমাচ। জানান, আবাসিক শিবিরে এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে, এবং তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। ৬৫,০০০ সমর্থকদের উপস্থিতিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চান ইগর। অন্যদিকে যুবভারতীর ফুলহাউজ তাঁদের বিরুদ্ধে যাবে বলে মনে করছেন না রুই বেন্টো। ভরা স্টেডিয়ামেই খেলতে চান কুয়েত কোচ। সুনীল পর্তুগালে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভারত অধিনায়কের প্রশংসা করলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৈরি তাঁরা।