• গাছে চর ভরাতে ছুটল ‘বীজ বোমা’
    আনন্দবাজার | ০৬ জুন ২০২৪
  • ভাগীরথীর চরগুলো সবুজে ঢাকা হলেও বড় গাছ নেই। সেই সব অংশ বড় গাছ দিয়ে ঢাকতে এ বার বীজ বোমার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করল কালীগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। তা সফল হলে আগামী দিনে অন্যত্রও এই ধরনের বীজ বোমার ব্যবহার করা হবে।‌ বুধবার, পরিবেশ দিবসে কালীগঞ্জের গোবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াডাঙা, হরিণডাঙা, সাধুগঞ্জ-সহ বিভিন্ন চরে প্রায় ৮০ হাজার বীজ বোমা ছড়ানো হয়। সকালে নৌকা করে চরে গিয়ে বীজ বোমা ছড়ানোয় হাত লাগান কালীগঞ্জের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সদস্যেরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কিছু যুবক-কিশোর। কালীগঞ্জের ওই সব চর ছোট ছোট বহু প্রজাতির গাছ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু, সরীসৃপ এবং পোকামাকড়ের অবাধ বিচরণভূমি। ইতিমধ্যে প্রশাসন একটিকে ‘সংরক্ষিত চর’ হিসাবেও ঘোষণা করেছে।

    ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়াচর গ্রামের পরিবেশকর্মী গণেশ চৌধুরীর তৎপরতায় গ্রামেরই বেশ কিছু কিশোর গরমের ছুটিতে বাড়িতে বসেই এই মাটি, গোবর এবং জৈব সার দিয়ে এই সব ‘বীজ বোমা’ তৈরি করে। তার ভিতর রেখে দেওয়া হয়েছে বাবলা, শিমুল, কুল, পিটুলি মতো গাছের বীজ। ওই সব চরে সেগুলি শ’য়ে শ’য়ে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে।

    বীজ বোমা যাতে দূরে গিয়ে পড়ে তার জন্য গুলতিও ব্যবহার করা হয়েছে। গণেশ চৌধুরী জানান, বর্ষার জল পেতেই এই সব ‘বোমা’ ফেটে চারা বেরিয়ে আসবে। সে সব গাছের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি কয়েকদিন জলের তলায় ডুবে থাকলেও ক্ষতি হয় না। সেগুলি দামি গাছও নয় যে লোকে চোরাপাচারের জন্য কেটে নেবে।

    ব্লক প্রশাসনের বিশ্বাস, বীজ বোমাা ব্যবহারের মাধ্যমে চর অচিরেই গাছে ভরে উঠবে। কালীগঞ্জের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “চরগুলিকে বড় গাছে ভরাতেই এই উদ্যোগ। বর্ষাকাল জুড়ে দফায় দফায় এ রকম বীজ বোমা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই সব কিশোররা শিখল যে গুলতি দিয়ে শুধু পাখি মারা নয়, পরিবেশ বাঁচানোর কাজও করা যায়। ৫০ হাজার তালগাছ লাগানোর
    পরিকল্পনাও হচ্ছে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)