• সৌমেন্দু ব্যস্ত দলের কাজে, দেবাংশু সমাজ মাধ্যমে
    আনন্দবাজার | ০৬ জুন ২০২৪
  • মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির সৌমেন্দু অধিকারী। অধিকারী বাড়ির নতুন তারকা সৌমেন্দু বুধবার দিনভর ছিলেন বাড়িতেই। সকালে পটাশপুর বিধানসভা এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর আসে। তিনি বিজেপির মণ্ডল নেতাদের নির্দেশ দেন, কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হবে। পাশাপাশি এ দিন শান্তিকুঞ্জে গিয়ে বিজেপির জেলা স্তরের নেতারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।

    মঙ্গলবার রাতে জয়ী হওয়ার পর শংসাপত্র নিয়ে তিনি সোজা চলে যান বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। সেখানে নবনির্বাচিত সাংসদকে পদ্ম ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা জানান দলীয় নেতৃত্ব। সৌমেন্দুর পাশাপাশি বুধবারেও 'শান্তিকুঞ্জে' ছিলেন মেজদা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সকালে দাদা শুভেন্দু এবং ভাই সৌমেন্দু দু’জনেই নিজেদের ফেসবুকে আরএসএসের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘ চালক মাধব রাও সদাশিবরাও গোলওয়ালকারের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করেন।

    অন্য দিকে, বুধবার সকাল হতে না হতেই কাঁথির পরাজিত প্রার্থী তথা তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক নিজের কার্যালয়ে জনসংযোগ করার পর সোজা চলে যান খেজুরিতে। সেখানে খেজুরির দু’টি ব্লকের নেতাদের নিয়ে হেঁড়িয়াতে একটি বৈঠক করেন উত্তম। ভোট পরবর্তী পরিস্থিতির খোঁজ নেন তিনি। অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর থেকে খেজুরির দুই ব্লকে একাধিক অশান্তির খবর মিলেছে। উত্তম বলছেন,"ভোট আসবে আর যাবে। কিন্তু ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমার দলের কর্মীরা বিপদে জেনেই আমি ছুটে গেছি।"

    তমলুক লোকসভার বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার সকালে তমলুকেই ছিলেন। বিকেলে তমলুক শহরে দলের জেলা কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে দলের জেলা সভাপতি তাপসী মণ্ডল, দলের লোকসভা আহ্বায়ক তথা তমলুকের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক দিন্ডা-সহ জেলা ও শহর নেতৃত্ব ছিলেন। অভিজিতকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় তমলুক থেকে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি।

    তমলুকে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য হাওড়ার বাড়িতে ফিরেছেন। তবে বুধবার সারাদিন তিনি বাড়ির বাইরে জাননি। ফোনও ধরেননি। অবশ্য ফেসবুকে সচল ছিলেন দেবাংশু। বিজেপির ভরাডুবিকে কটাক্ষ করে একটি কবিতাও লেখেন। তার আগে তমলুককে বিদায় জানিয়ে ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন,"গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও খারাপ ভাষা ব্যবহার করিনি। বিরোধী হলেও বয়সে বড়দের অসম্মান করিনি। মহিলাদের দাম জিজ্ঞেস করিনি। আমাকে সঠিক পথে চালনা করার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।"

    তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য যে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা ইঙ্গিতে স্পষ্ট। যদিও পরে তমলুকের নতুন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘আশা করি, নতুন সাংসদ তমলুকবাসীর সুখে-দুঃখে সর্বদা থাকবেন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)