বুধবার রাতেই দিল্লিতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে হাজির ছিলেন দু’জনে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই বৃহস্পতিবার সকালে অখিলেশ যাদবের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১০টা নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক পৌঁছন অখিলেশের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনও। অভিষেকদের স্বাগত জানাতে বাড়ির প্রবেশদ্বার পর্যন্ত এগিয়ে আসেন অখিলেশ। কাঁধে হাত রেখে নিয়ে যান বাড়ির ভিতরে। এর পরে অখিলেশের বাড়িতে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে ‘ইন্ডিয়া’ দুই অন্যতম প্রধান শরিকের শীর্ষ নেতার বৈঠক।
‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পরেই অখিলেশ এবং অভিষেকের এই বৈঠক ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিরোধী জোটের বৈঠকের পরও ইন্ডিয়ার অন্যতম শরিক দুই দল সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতার আলাদা করে এই সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ। আবার কেউ কেউ বলছেন, বুধবারের বৈঠকেই কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। তারা ঠিক করেছিল, আপাতত কেন্দ্রে সরকার গড়া তাদের লক্ষ্য নয়। বদলে তারা ঐক্যবদ্ধ বিরোধী হিসাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে এবং তাঁদের জন্য দাবি আদায় করে আনবে। তাই এই বৈঠক সেই ঐক্যেরই প্রতীক। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বৈঠক নেহাতই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের পরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে সবচেয়ে বেশি আসন এনে দিয়েছে অখিলেশের দল সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ৩৭টি আসন জিতেছে তারা। তার পরেই রয়েছে ২৯টি আসন পাওয়া তৃণমূল। যদিও আসনের নিরিখে ‘ইন্ডিয়া’ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা এই দুই দলের শীর্ষনেতার বৈঠক নিয়ে আলাদা করে অভিষেক বা অখিলেশ কেউই কিছু জানাননি।