• মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, সাপের কামড়ে মৃত্যু চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর!
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ জুন ২০২৪
  • প্রদ্যুত দাস: সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। গভীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠিয়েছে।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া সেরে সেই স্কুল ছাত্রী ঘুমাতে যায়। ঠাকুমা এবং দিদির সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতো চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী। আর তারপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকা সাপের ছোবল, চিৎকার করে ওঠে ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার উপক্রম হলেও গাড়ি আসতে দেরি হয়। প্রায় রাত ১.৩০ নাগাদ গাড়ি এলে তাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সেই ছাত্রীর। হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে প্রতিবেশীরা বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের মধ্যে গর্ত থেকে উদ্ধার করেন সেই সাপটিকে। জানা গেছে, বিষধর গোখরো সাপের কামড়েই নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে কুমোরপাড়া এলাকার এক যুবক সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে এই ঘটনার পরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও বর্তমানে সে সুস্থ অবস্থায় পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য অমল রায় বলেন, 'সাপ আমাদের পরিবেশের একটি গুরুত্বপুর্ন উপাদান। অনেক সময় সাপ খাবারের সন্ধানে এবং নিরাপদ আশ্রয়ের কারণে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সাপের কামড়ের পরেও অনেকে সুস্থ রয়েছে এমন নজির রয়েছে। ফলে সাপ কামড়ালে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ১০০ মিনিটের মধ্যে নিয়ে এলে তাকে সু চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা সম্ভব। তাই মানুষের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।'
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)