সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণ ব্রিগেডের হাত ধরে খরা কাটাবে। এই আশাতেই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে একঝাঁক তরুণ নেতাকে বেছে নিয়েছিল বামেরা। কিন্তু বিধি বাম। খরা কাটানো তো দূরের কথা সিপিএমের এই তরুণ ব্রিগেড দলের মুখটুকুও রাখতে পারেনি। তরুণ ব্রিগেডের সব প্রার্থীই শুধু যে তৃতীয় হলেন তাই নয়, বাঁচাতে পারলেন না জামানতও।
বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ২৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি প্রার্থী দিয়েছিল সাতটি আসনে। ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সিপিএমের (CPIM) ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যে দুজন প্রার্থী জামানত বাঁচাতে পেরেছেন, তাঁরা দুজনই সেই পক্ককেশ জমানার। একজন মহম্মদ সেলিম আরেক জন সুজন চক্রবর্তী।
নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, মোট যত ভোট পড়েছে, তার এক-ষষ্ঠাংশ অর্থাৎ ছ’ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত থাকে। অর্থাৎ মোট ভোটের ১৬.৬৬ শতাংশের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। আসলে প্রার্থী হতে গেলে নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট ডিপোজ়িট মানি জমা রাখতে হয়। লোকসভা ভোটে সেই টাকার অঙ্ক ২৫ হাজার টাকা। জামানত বাজেয়াপ্ত হলে সেই টাকা আর ফেরত পাওয়া যায় না। সেই হিসাবে সিপিএমের (CPIM) ২১ জন প্রার্থীর জন্য ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জলে গেল।
মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim) দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি ৩৩.৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন নিজের কেন্দ্রে। দমদম কেন্দ্রে সুজন চক্রবর্তী ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর কোনও বাম প্রার্থী জামানত বাঁচাতে পারেননি। সৃজন ভট্টাচার্য যাদবপুর থেকে ভোট পেয়েছেন ১৬.৫২ শতাংশ। এর বাইরে একাধিক বামপ্রার্থী লক্ষাধিক ভোট পেলেও জামানত বাঁচাতে পারেননি কেউই। বস্তুত যে তরুণ বাম ব্রিগেডের উপর এত ভরসা ছিল সিপিএমের, তাঁরা জামানত বাঁচানোর মতো জায়গাতেও এখনও পৌঁছতে পারেননি। ফলে এতদিন ধরে নব্য ব্রিগেডকে সামনে আনার দাবিতে যে ?বিপ্লব? বামেদের অন্দরে চলছিল, সেই বিপ্লবও বিশেষ কাজে এল না।