• খালিস্তানি বিতর্কের আবহে মোদিকে অভিনন্দন জাস্টিন ট্রুডোর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ জুন ২০২৪
  • দিল্লি, ৬ জুন ? খলিস্তানি ইস্যুতে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এরই মধ্যে
     সেই দেশের নির্বাচনে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে  নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে সংঘাত বেড়েছে। কিন্তু এই টালমাটাল পরিস্থিতিতেও লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, “মানবাধিকার,  ও আইনের শাসন মেনে দুদেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে।” বিশ্লেষকদের মতে, অভিনন্দন জানিয়েও মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে দিতে ছাড়েননি ট্রুডো।
     
    লোকসভা নির্বাচনে ভারতের উপর নজর রেখেছিল বিভিন্ন দেশ। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই এই নির্বাচন ও মোদি সরকারকে নিয়ে নানা কাঁটা ছেঁড়া করেছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো। এরই মাঝে মোদিকে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ট্রুডোও। বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নির্বাচনে জয়লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনেক অভিনন্দন।’ আগামি দিনে একসঙ্গে কাজ করতে চাইলেও এদিন দিল্লিকে কিছুটা বিঁধে ট্রুডো বলেন, “মানবাধিকার,  আইনের শাসন বজায় রেখেই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হবে।”
     
    উল্লেখ্য, খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত কানাডায় গ্রেপ্তার হয়েছে চার ভারতীয় নাগরিক। যা নিয়ে শিখদের একটি অনুষ্ঠানে ট্রুডো বলেছিলেন, “কানাডায় আইনের শাসন রয়েছে। স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ রয়েছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে রক্ষা করাই এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।” বিশ্লেষকদের মতে, নিজের দেশের আইনের শাসন মনে করিয়ে দিয়েই এদিন মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
     
    নিজ্জর খুনের পর থেকেই অবনতি ঘটেছে ভারত-কানাডা সম্পর্কের। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ্জর খুনে অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির দিকে। তারপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হয়।  
     
    । দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। এর পর ভারত থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নেয় কানাডা। ট্রুডোকে সরকারকে পালটা দিয়ে ভারত বারবার অভিযোগ করে এসেছে কানাডা সন্ত্রাসবাদীদের বিচরণভূমি হয়ে উঠেছে। কানাডার প্রশয়েই খলিস্তানিরা নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করছে, ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। ফলে আরেকবার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসায় আগামি দিনে দুদেশের সম্পর্ক কোনখাতে বইবে  সেদিকে নজর রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)