• শীর্ষ মন্ত্রক নিয়ে টানাপোড়েন, চাবিকাঠি নিজেদের হাতে রাখার বিষয়ে অটল মোদি -শাহ জুটি 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ জুন ২০২৪
  • দিল্লি, ৬  জুন  ? টানা দশ বছর ধরে তাঁর একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশিই তাঁর দফতরের বিপুল ক্ষমতা এবং প্রভাবও আলোচনায় এসেছে বার বার। কেন্দ্রে প্রথম বার জোট সরকারের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি  এবং তাঁর দফতর সেই ‘কর্তৃত্ব’ বজায় রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। জোটসঙ্গীদের মন রাখতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মন্ত্রীকেই জায়গা করে দিতে হবে মোদিকে। এই আবহে মোদি  ৩.০-র ক্যাবিনেটের চিত্র আগেরবারের তুলনায় পুরোপুরি বদলে যেতে পারে।
    এবারের লোকসভা নির্বাচনে গত সরকারের ১৯ জন মন্ত্রী হেরেছেন। তাঁদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি সহ ৪ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী । এদিকে এবারের ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সরকার টিকিয়ে রাখতে তাই জোটসঙ্গীদের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে বিজেপিকে।
    এই  পরিস্থিতিতে মন্ত্রীপদের দাবি নিয়ে দর কষাকষির চাপ বাড়াতে পারে টিডিপি এবং জেডিইউ-র মতো দলগুলি। সরকার বাঁচাতে সেই সব দাবির অধিকাংশ মেনে নিয়ে আপসও করতে পারে বিজেপি। 
     
    এনডিএ অর্থাৎ মিলিজুলি সরকার গঠিত হলেও প্রধান  মন্ত্রকগুলি নিজের হাতেই রাখবে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি। শরিক দলগুলির বিভিন্ন দাবিদাওয়া রাখতে হলেও সরকারের চাবিকাঠি নিজেদের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি -শাহ জুটি। যেমন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, রেল, প্রতিরক্ষা, তথ্য-সম্প্রচার, প্রযুক্তি, আইন-বিচার এবং সর্বোপরি বিদেশ মন্ত্রক পদ্ম শিবিরেই রাখার বিষয়ে অটল বিজেপি।
     

    সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি বা বায়না যাই থাক না কেন, শরিক দলগুলিকে রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে চায় বিজেপি। চন্দ্রবাবুর দল ছাড়াও লোক জনশক্তি পার্টি চিরাগ পাসোয়ান একটি ক্যাবিনেট ও একটি রাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবিদার হতে পারেন। এছাড়াও জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চাও একটি ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রক চাইতে চলেছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)