• জি নিউজের প্রশ্নেই সায়, এক্সিট পোল দুর্নীতির দায়ে মোদী-শাহের তদন্ত চাইলেন রাহুল!
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ জুন ২০২৪
  • রাজীব চক্রবর্তী: এক্সিট পোলে 'দুর্নীতি'! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বুথফেরত সমীক্ষা যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তর দাবি তুললেন রাহুল গান্ধী। বললেন, 'প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে কেন বিনিয়োগ পরামর্শ দিলেন? ৫ লক্ষ পরিবার, যাঁরা বিনিয়োগ করে, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  কেন স্টক কেনার নির্দেশ দিলেন? বিজেপির হয়ে যাঁরা এক্সিট পোল করলেন, তাঁদের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কি সম্পর্ক আছে? থাকলে কী সেই সম্পর্ক? আমরা তদন্তের দাবি করছি। দেশ সত্যিটা জানতে চায়'। রাজনৈতিক মহলের মতে, সংসদের তৃতীয় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে 'অস্ত্র' পেল গেল বিরোধীরা। অধিবেশনের শুরুতেই শেয়ার মার্কেট ইস্যুতে সুর চড়াবে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা।

    এক্সিট পোলের তথ্য মেলেনি। দিল্লিতে এবার আর এককভাবে সরকার করতে পারবে না বিজেপি। চব্বিশের লোকসভা ভোটে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে NDA জোট, তখন দুশোরও বেশি আসনে জিতেছে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটও। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই এক্সিট পোল? কারাই-বা করল? এই প্রশ্ন তুলেছিল জি নিউজ। এবার সেই একই কথা শোনা গেল রাহুল গান্ধীর মুখে।  এদিন দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন রাহুল বলেন, 'প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্টক মার্কেট নিয়ে মন্তব্য করতে দেখলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চার জুনের পর স্টক মার্কেট গগনচুম্বী হবেস সবাই শেয়ার কিনে রাখুন।  শেয়ার বাজার রেকর্ড উচ্চতা ছোঁবে, বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১ জুন ভুল এক্সিট পোল প্রকাশ করল মিডিয়া। ৩ জুন স্টক মার্কেটে সব রেকর্ড ভেঙে গেল। ৪ জুন হঠাৎ করে স্টক মার্কেট ধস নামল'।রাহুলের কথায়, 'শেয়ার বাজারে পতনে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে'। তাঁর দাবি, 'বিজেপির নিজস্ব সমীক্ষা ২২০ আসন পাওয়ার কথা জানিয়েছিল। এই তথ্য বিজেপি নেতাদের কাছে ছিল। ইনটেলিজেন্স এজেন্সি ২০০ থেকে ২২০ আসনের কথা সরকারকে বলেছিল। এটা ফৌজদারি অপরাধ। .যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্তের দাবি করছে কংগ্রেস'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)