• JDU, TDP-দের কোন কোন মন্ত্রক ছাড়তে পারে BJP? জোটের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা
    আজ তক | ০৭ জুন ২০২৪
  • জোট সরকার মানেই মন্ত্রক নিয়ে টানাটানি। কোন দলের কতটা শক্তি থাকবে, তার টানাপোড়েন। লোকসভা ভোটের পর NDA জোট সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আজ, ৮ জুন বৈঠকে বসবেন NDA-এর শরীকরা। এই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এনডিএ-র সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হবে। এর পাশাপাশি, মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। সেই বৈঠকে নতুন মন্ত্রীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুঙ্গে। তথ্যানুযায়ী, ৯ জুন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ৬ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
    এবারের ভোটে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে শরীকদের ভরসাতেই সরকার তৈরি হবে। ফলে তারা যদি চাপ দেয়, সেক্ষেত্রে বিজেপির কী অবস্থান হবে, সেটা চিন্তার বিষয়।

    সবার আগে জেনে নেওয়া যাক কারা কতজনকে মন্ত্রী করতে চাইছে
    জোটে কোনও দলের প্রতি ৪ MP পিছু জন্য একটি করে মন্ত্রী পদ দাবি করা যাবে। এমনটাই কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। নীতিশ কুমারের JDU-র ১২টি আসন রয়েছে। ফলে তাদের দল থেকে অন্তত ৩ জনকে মন্ত্রী করতে হবে। এবার যেমন ধরুন শিবসেনা... তাদের ৭ জন সাংসদ। ফলে তাঁদের দাবি হবে ২ জনকে মন্ত্রী করা। TDP ১৬টি আসন পেয়েছে, ফলে তাদের ৪ জনকে মন্ত্রী করতে হবে।
    এছাড়াও, চিরাগ পাসোয়ানের দলের ৫ জন সাংসদ, তারাও মন্ত্রিসভায় দু'টি আসন চায়। ২ জন সাংসদ নিয়ে RLD-ও মন্ত্রী পদ চায়। আবার মাত্র ২ জন সাংসদ নিয়ে JDS-ও মন্ত্রী পদ চাইছে। একা সাংসদ জিতন রাম মাঞ্জিও নিজের জন্য মন্ত্রিসভার পদ চান।
    এতদিন বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত। তাই নিজেরাই দিব্যি, নির্বিঘ্নে মন্ত্রী পদ সাজিয়ে নিত। কিন্তু এবার বিষয়টা অতটা সরল হবে না।

    আজতককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সিনিয়র JDU নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষাধিকার এবং কাকে কোন মন্ত্রী পদ দেওয়া হবে তা তিনিই বেছে নেন। কিন্তু রাজনীতিতে সবকিছু এমন সরল না। কারণ JDU ২০১৯ সালে সরকারে যোগ দেয়নি।'

    তাহলে এখন পরিস্থিতিটা ঠিক কেমন?

    - প্রথমেই বোঝা দরকার, BJP মূল কিছু মন্ত্রক ছাড়বে না। সেগুলি হল প্রতিরক্ষা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রক।

    - দরিদ্র কল্যাণ, যুব ও কৃষি, এই বিষয়গুলিতে BJP-র ফোকাস হয়েছে। তাই এই মন্ত্রকগুলিও নিজেদের কাছেই রাখবে।

    - রেল ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রকও অন্য কাউকে দিতে চাইবে না বিজেপি। এই দুই সেক্টরেই প্রচুর প্রকল্প চলছে। অন্য কারও হাতে দিলে হঠাৎ সেই কাজে ব্যাঘাত আসতে পারে।

    - টিডিপি স্পিকার পদ চাইছে। কিন্তু বিজেপি রাজি নয়। সূত্রের দাবি, বেশি জোরাজুরি করা হলে বড়জোর ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া যেতে পারে টিডিপিকে।

    - বাজপেয়ী সরকারের আমলে শিল্প, পেট্রোলিয়াম, রাসায়নিক, আইন, সড়ক, রেলপথ এমনকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও মিত্রদের হাতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোদীর আমলে মনে হয় না এমনটা হবে। 

    - পঞ্চায়েত রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়নের মতো মন্ত্রক JDU-কে দেওয়া যেতে পারে। কারণ এই বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা আছে।

    - অসামরিক বিমান পরিবহন, ইস্পাত-এর মতো মন্ত্রক পেতে পারে TDP।

    - বৃহৎ শিল্প মন্ত্রক শিবসেনার হাতে যেতে পারে।

    - অর্থ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর পদে শরীক সাংসদদের সামিল করা হতে পারে।

    - পর্যটন, দক্ষতা উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো মন্ত্রকও শরীক সাংসদদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
  • Link to this news (আজ তক)