ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ। সেখানে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও বেশ কিছু রাজ্যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল রেমাল। কিন্তু ভোটের আদর্শ আচরণবিধি চলায় কোনও সরকারই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোটগণনা শেষ হতেই বুধবার থেকে সব রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই।
নবান্ন সূত্রে খবর, রেমালের ক্ষতিজনিত বিমার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এক জন করে নোডাল অফিসার রাখতে হবে। তাঁদের বিষয়ে তথ্য দিতে হবে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে। যে জেলাগুলিতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি, সেখানে আলাদা করে জেলাভিত্তিক অফিসার নির্বাচন করে দ্রুত দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ করা যাবে, তা ওয়েবসাইটে এবং বিজ্ঞাপন নিয়ে জানাতে হবে। সর্ব ক্ষণের জন্য হেল্পলাইন চালু রাখতে হবে এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমার টাকা মেটাতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
প্রসঙ্গত, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের পর রাজনৈতিক দলগুলি এবং কেন্দ্র-রাজ্য কোনও পক্ষই সে ভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাময়িক ত্রাণের বন্দোবস্ত করলেও, অর্থ দেওয়া যায়নি। ভোটপর্ব শেষ হতেই, জুন মাসে দুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পক্ষপাতী নবান্ন।