• লোকসভা ভোটে জয়ের পর পদত্যাগ তৃণমূল প্রধান ও উপপ্রধানদের!
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ জুন ২০২৪
  • রাজীব চক্রবর্তী ও বিধান সরকার: ভোটে জিতেও আনন্দ নেই! উল্টে বিধায়কের 'আচরণে'র প্রতিবাদে এবার পদত্যাগ করলেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধানরা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলিতে।

    এ রাজ্যে লোকসভা ভোটে বেনজির সবুজ ঝড়। ঘাসফুল ফুটেছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রেও। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৬,৮৫৩ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। গতবার হুগলিতে জিতেছিলেন লকেট। এদিকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তর্গত ৭ বিধানসভা মধ্য়ে ৩টিতেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী। ভোটের ব্য়বধান সবচেয়ে বেশি চুঁচুড়ায়। কত?  ৮ হাজারেও বেশি। এদিন চূঁচুড়ার ব্যান্ডেল,দেবানন্দপুর,কোদালিয়া-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপ-প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার আধিকারিকরাও।সূত্রে খবর, বৈঠকে চুঁচুড়া বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থীর হারে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিধায়ক। রীতিমতো অপমান করেন দলের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের! এরপর মগড়া বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্য়াগ করেন প্রধান ও উপ-প্রধানরা। বিধায়ক নিজেই জানান, '৪ পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানরা পদত্যাগ করেছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁদের বিবেক আছে। তাঁরা থাকা অবস্থায় দলে পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।  কেন, তা নিয়ে পর্যালোচনা করব'। চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস। তাঁর দাবি, 'মানুষের সঙ্গে, বিশেষ করে দলের কর্মী-কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্য়বহারের ফল। কাউন্সিলরদের সঙ্গে কুকুর-ছাগলের মতো ব্যবহার করেন বিধায়ক। একদিন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে'।  বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের পাল্টা কটাক্ষ, 'হারের দায় বিধায়ক কেন নিচ্ছেন না? তিনিই তো চুঁচুড়ার অভিভাবক'!চুপ করে বসে নেই বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। বাংলার দলের ভরাডুবির পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। স্রেফ হারের কারণ পর্যালোচনা নয়, দিল্লির নেতাদের তথ্যও দেবেন তিনি। লকেট বলেন, 'মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। তবু কেন পরাজয় খতিয়ে দেখতে হবে'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)