কঙ্গনাকে চড় মারা জওয়ানের সমর্থনে পথে নামছেন কৃষকেরা, রবিতে ‘ইনসাফ’ যাত্রার ডাক
আনন্দবাজার | ০৭ জুন ২০২৪
অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে চড় মেরে শ্রীঘরে অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান কুলবিন্দর কউর। এ বার তাঁর সমর্থনেই পথে নামছেন কৃষকেরা। একাধিক কৃষক সংগঠনের তরফে দাবি, যেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও অযৌক্তিক পদক্ষেপ করা না হয়। আগামী ৯ জুন একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন কৃষকেরা।
পঞ্জাবের মোহালির রাস্তায় নেমে রবিবার প্রতিবাদ জানাবেন কৃষকেরা। ‘ইনসাফ’ যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, বিমানবন্দরে যে ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্তের প্রয়োজন। কেন এমন ঘটনা হল, তা খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক— দাবি কৃষকদের। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা, কিষাণ মজদুর মোর্চার তরফে শুক্রবার জানানো হয়, তারা কুলবিন্দরের সমর্থনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার এক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল বলেন, ‘‘আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে কোনও অবিচার করা উচিৎ নয়।’’ মোহালির এসপি অফিসের সামনে রবিবার ‘ইনসাফ’ যাত্রা বার করবেন কৃষকেরা।
বৃহস্পতিবার দিল্লিগামী বিমান ধরার জন্য চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে ওই সিআইএসএফ কনস্টেবলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, কঙ্গনা নিজের মোবাইল তল্লাশির জন্য নির্দিষ্ট ট্রে-তে রাখতে চাননি। এর পরই মহিলা নিরাপত্তারক্ষী এসে কঙ্গনাকে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ। কুলবিন্দর নিজে স্বীকারও করেছেন সে কথা। এ-ও জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার পুরনো মন্তব্যের জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, কৃষকেরা ১০০ টাকার বিনিময়ে সেখানে বসে রয়েছেন। তিনি কি সেখানে গিয়ে বসে থাকবেন? তিনি যখন এ সব বলেছিলেন, তখন আমার মা সেখানে গিয়ে বসে প্রতিবাদ করছিলেন।’’
কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা এক বার বলেছিলেন, ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন কৃষকেরা। এই মন্তব্যের জেরেই কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন বলে জানিয়েছেন কুলবিন্দর। চণ্ডীগড় থেকে বিমান ধরে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তার পরই অভিযুক্ত কুলবিন্দরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৃহস্পতিবারই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। শুক্রবার কুলবিন্দরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।