ভোটের ফল প্রকাশের পরে তিন দিন পার। কিন্তু শাসকদলের বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ ওঠা থামছে না। শুক্রবার বিকেলে ওই অভিযোগে খানাকুল বাস স্ট্যান্ডে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ করল বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ।
বিধায়কের অভিযোগ, শাবলসিংহপুর, হরিশচক, পোল ১, কিশোরপুর ১ ও ২ অঞ্চলে তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা করছে। ঘর ভাঙচুর, জোর করে তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদে এবং বিহিত চেয়েই অবরোধ করা হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের খানাকুল ২ ব্লক সভাপতি রমেন প্রামাণিকের দাবি, ‘‘আমাদের তরফে কোথাও কোনও অশান্তি নেই। বিজেপিই এলাকা সন্ত্রস্ত করতে মোটা মোটা লাঠিতে নিজেদের দলীয় পতাকা ঝুলিয়ে বাইক-মিছিল করে চলেছে গ্রামগুলিতে।’’
এ দিনই সকালে খানাকুলের নন্দনপুরে প্রবীর বেরা নামে দল থেকে বহিষ্কৃত এক জনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রবীরের অভিযোগ, জলের মোটর, কিছু আসবাবপত্র ক্ষতি করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানায় পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ব্যক্তিগত ঝগড়ায় ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
গত বুধবার গোঘাটের কামারপুকুর ডাকবাংলো এলাকায় দুই বিজেপি সমর্থকের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একই ঘটনা ঘটে আরামবাগের চণ্ডীবাটিতে তিন সিপিএম সমর্থকের দোকানেও। শুক্রবার কামারপুকুরের দোকান দু’টি খোলা হল স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রাজদীপ দে’র হস্তক্ষেপে। চণ্ডীবাটির তিনটি দোকান এ দিনই পুলিশের সক্রিয়তায় খোলা হয়েছে। ঘটনার পরে তৃণমূল
দাবি করেছিল, সংশ্লিষ্ট বিরোধী দলের কর্মীরা নিজেরাই ভয়ে দোকান বন্ধ করে থাকতে পারেন। দোকান খোলায় ওই ব্যবসায়ীরা খুশি।
ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ডোমজুড় বিধানসভা এলাকায় সিপিএমের দুই নির্বাচনী এজেন্ট-সহ কয়েক জন কর্মীর বাড়িতে বা দোকানে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বাড়িতে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। হামলার অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, ‘‘এখানে ওঁদের কর্মিসংখ্যা নামমাত্র। তাঁদের কিছু করার প্রয়োজন তৃণমূলের পড়ে না।’’