সার্ভিস রোড দখল করে সারি সারি আনাজের দোকান। দাঁড়িয়ে বাইক, সাইকেল, টোটো। এ পথে হাঁটাও মুশকিল, তারই মধ্যে কোনও ভাবে যান চলাচলও করছে। ছোট-বড় দুর্ঘটনা নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। দিন কয়েক আগে দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হওয়ায় পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছিল। নজরদারি হালকা হতেই ফের একই হালে ফেরায় চিন্তিত স্থানীয়রা।
গলসি বাজারের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উড়ালপুলের দু’পাশে রয়েছে সার্ভিস রোড। আনাজ বিক্রেতা, হকার, বাইক, সাইকেল, টোটোর বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে রাস্তাটি অতি সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। তার উপর ক্রেতাদের ভিড়। দোকানে পৌঁছতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাঁদের। স্থানীয় দোকানদারেরা জানান, হকারদের জন্য ভিড় হওয়ায় তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে।
গলসি হাইস্কুলের গেটের কাছে মাছের আড়ত থাকায় ভোর থেকেই সেখানে গাড়ি, বাইক, সাইকেল জড়ো হয়ে যায়। সহজেই যানজট তৈরি হয়। স্থানীয়রা জানান, স্কুল, কলেজের পড়ুয়ারাও চরম দুর্ভোগে পড়েন। কয়েক দিন আগে হাইস্কুলের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় এক জনের মৃত্যুর পর রাস্তা দখল করে থাকা দোকানগুলি তুলে দিয়েছিল পুলিশ। মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়। তবে কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি পুরনো জায়গায় ফিরে আসে।
সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও মন্তব্য করতে চান না বলে জানান, গলসি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বজরুল রহমান মণ্ডল। গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির হেমন্ত পালের দাবি, অতীতে ওই হকারদের সতর্ক করা হয়েছিল। যাঁরা সার্ভিস রোডে দোকান তৈরি করে ফেলেছেন, দুর্ঘটনার পরে তাঁদের দোকান খুলতে নিষেধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “অনেকে কথা শোনেন, অনেকে শোনেন না। আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। আমরা চেষ্টা চালাছি।”