• বিজেপির ফলাফলে চিন্তা সঙ্ঘ পরিবারে
    আনন্দবাজার | ০৮ জুন ২০২৪
  • রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠার একশো বছরের আগে বিজেপির আসন কমে যাওয়া চিন্তায় ফেলেছে সংগঠনকে। ২০২৫ সালে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠার একশো বছর হবে। তার আগে প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সঙ্ঘ। কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিজেপির ছয়টি আসন কমে যাওয়ায় সংগঠনের প্রচারের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গ্রামে-গ্রামে যারা এত দিন বিজেপির হাওয়ায় আরএসএসের সঙ্গে জুড়ে যেতে চাইছিলেন, তাঁরা কি এ বার সরে যাচ্ছেন, সঙ্ঘের অন্দরেই সে অশঙ্কা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

    যদিও সঙ্ঘের দাবি, বিজেপির জয়, পরাজয়ের সঙ্গে তাদের সংগঠনের কর্মসূচি তৈরি হয় না। তারা দুই বছর আগে থেকে একশো বছর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সে লক্ষ্যের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি। উত্তরবঙ্গের অনেক গ্রামে পৌঁছতে পারলেও দক্ষিণবঙ্গে সঙ্ঘের কাজের গতি কিছুটা ধীরে চলছে বলেও খবর। বাকি গ্রামগুলিতে পৌঁছতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সঙ্ঘ নেতৃত্ব।

    বিজেপির আসন কমে যাওয়ায় সঙ্ঘ নেতারাও কিছুটা যে ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছেন, তা মানছেন সংগঠনের অনেকে। উত্তরবঙ্গের এক সঙ্ঘ নেতার কথায়, ‘‘আমাদের সারা বছর নানা কর্মসূচি চলে। নতুন করে ভাবার কিছু বিষয় নেই। যে গ্রামগুলিতে সংগঠনের কাজ পৌঁছয়নি আস্তে আস্তে পৌঁছবে। তবে বৈঠকে সব বিষয়ে আলোচনা হবে।’’

    উত্তরবঙ্গের আট আসনের মধ্যে বিজেপির ২০১৯ সালে সাতটি জিতেছিল। কোচবিহারে এ বার হারের ফলে, তাদের দখলে এখন ছ’টি আসন। কোচবিহারের বিজেপির খারাপ ফলের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন সঙ্ঘ নেতারা। কিন্তু সে ভাবে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় আরএসএসের শিবির চলছে। আগামী দিনেও কিছু শিবিরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। লোকসভা ভোটের ফলের প্রেক্ষিতে সেগুলিতে উপস্থিতি কেমন হবে ভাবছেন নেতারা।

    বিজেপি সূত্রে খবর, বিজেপির সঙ্গে আরএসএসের সরাসরি রাজনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ভাবাদর্শগত মিল রয়েছে। সঙ্ঘের অনেক কর্মী, নেতাকে পরবর্তীতে বিজেপি নেতা হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে সঙ্ঘের কর্মী কতটা বাড়বে, সেটাও বিচার্য বলে জানাচ্ছেন নেতাদের একাংশ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)