লোকসভা ভোট সেরেই বিধানসভা ভোট নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় বৈঠকে আজ, শনিবার তারই প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করে দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা ভোটে সংগঠন সম্পর্কিত রিপোর্ট দিতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে আশাব্যঞ্জক ফল হলেও দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সক্রিয়তা জারি রাখতে চাইছে তৃণমূল। সেই কাজ নিয়ে আলোচনা করতেই দলের নবনির্বাচিত সাংসদ, রাজ্যসভার দলীয় সাংসদ, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কালীঘাটে আজ বৈঠকে বসছেন মমতা। দলীয় সূত্রে খবর, এ বারের লোকসভা ভোটের লড়াই সম্পর্কে নিজের বিশ্লেষণ জানাতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। তার ভিত্তিতেই এ রাজ্যের সাংসদ ও জেলা সভাপতিদের আশু কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতে পারে। নবনির্বাচিত সাংসদদেরও নতুন দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারেন মমতা। লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনে সংগঠনের যে ত্রুটি- বিচ্যুতি সামনে এসেছে, সেই সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন জানিয়ে দলীয় পদাধিকারীদের কর্তব্য জানাতে পারেন অভিষেক। সেই সূত্রেই এই ভোটে নজরে আসা সাংগঠনিক ‘নিষ্ক্রিয়তা ও অন্তর্ঘাতে’র বিষয়ও আসতে পারে।
নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারের বড় অংশ জুড়ে ছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা, রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকার বিকল্প ব্যবস্থা করায় তা ইভিএমে দলের পক্ষে কাজ করেছে। সেই সঙ্গেই এ বারের ভোটে আটকে থাকা আবাস যোজনা রূপায়নের যে প্রতিশ্রুতি মমতা ও অভিষেক দিয়েছেন, তা নিয়ে এগোতে হবে তাঁদের। এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে দল ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কী ভাবে জুড়ে রাখতে হবে, এই বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। রাজ্যে এর পরে ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দেবে তৃণমূল।
কালীঘাটের এই বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কুণাল ঘোষের মতো বেশ কয়েক জনকে ডাকা হয়েছে।