• ভোট মিটতেই তৎপরতা বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় তদন্ত-সংস্থার
    আনন্দবাজার | ০৮ জুন ২০২৪
  • নির্বাচন পর্ব মিটতেই আবার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তৎপরতার আভাস মিলতে শুরু করল।

    রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে নিয়োগ, রেশন কিংবা পুর-নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড— বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে থাকা তদন্তগুলি নিয়ে ফের নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে বলে ওই সব সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছে। সিবিআই সূত্রের খবর, গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা দিল্লি থেকে এ রাজ্যে চলা বিভিন্ন দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন। যেখানে প্রতিটি মামলা কোন অবস্থায় রয়েছে বা তার ‘স্টেটাস’ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আগামী সপ্তাহে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিআইজি পদমর্যাদার কয়েক জন কর্তা কলকাতার নিজাম প্যালেস ও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, বিভিন্ন মামলায় তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, তার খসড়া রিপোর্ট দিল্লিতে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পর্যবেক্ষণের পরে, আগামী সপ্তাহে দিল্লির কর্তারা কলকাতায় আসছেন বলে দাবি।

    স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চাকরি বাতিলের মামলা এখন শীর্ষ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ জনের বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। সিবিআইয় সূত্রের খবর, প্রয়োজনে শীর্ষ আদালতে ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে।

    এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, “প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তদের আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ তো দেয়নি শীর্ষ আদালত। অযোগ্যদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং সাম্প্রতিক তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সুপার নিউমেরিক পোস্ট কোন উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল, তার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে দিল্লির কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করা হয়েছে।”

    শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নয়, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা ও গরু পাচারের মামলার ক্ষেত্রেও ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। ওই সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পরিকল্পনার নীল নকশা তৈরি করা হবে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)