এক পরিচারিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। শুক্রবার ভোরে হরিদেবপুর থানা এলাকায় মতিলাল গুপ্ত রোডের একটি দোতলা বাড়ির একতলার ঘর থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম মৌমিতা জাঙ্কা (২০)। আদতে তিনি মেদিনীপুরের বাসিন্দা। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। পুলিশ জানিয়েছে, তাতে এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবে ওই নোটের লেখাটি মৌমিতার কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।
লালবাজার জানিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে মতিলাল গুপ্ত রোডের বাসিন্দা কৌশিক চক্রবর্তীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন মৌমিতা। কৌশিকের বিশেষ ভাবে সক্ষম নাবালক ছেলের দেখাশোনা করতেন তিনি। এ দিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ একতলার একটি ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৌমিতার ঝুলন্ত দেহ দেখেন কৌশিকের স্ত্রী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৌমিতাকে মৃত বলে জানান।
লালবাজার জানিয়েছে, মৌমিতার মা সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। মেদিনীপুরে থাকেন তাঁর বাবা ও তিন বোন। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমি আমার মায়ের কাছে নিজের ইচ্ছায় চলে যাচ্ছি। কারও কোনও দোষ নেই’। তদন্তকারীদের অনুমান, মায়ের মৃত্যুর পরে শোক থেকেই এই চরম পথ বেছে নেন মৌমিতা। মেদিনীপুরে তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর এক দিদি কলকাতায় আসছেন। তবে, গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কৌশিকের পরিবার।