• মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র মন্ত্রী নিজের বুথে তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দিতে ব্যর্থ ...
    আজকাল | ০৮ জুন ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক : মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে ২২ টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ জেলাতে তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা ২০ এবং বিজেপি বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ২। তবে জেলা থেকে মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রীসভা রয়েছেন কেবলমাত্র একজন। রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আখরুজ্জামান বর্তমানে বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভাতে তৃণমূলের ফল মোটেই আশানুরূপ হয়নি। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান সব থেকে কম লিড পেয়েছেন রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভা এলাকা থেকে। সেখানে তাঁর লিড মাত্র ৩৭৫৭ ভোটের। তবে বুধ ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে আরও এক অদ্ভুত তথ্য সামনে এসেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র মন্ত্রী আখরুজ্জামান নিজে সম্মতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইদাপুরে ১৩৫ নম্বর বুথে যেখানে ভোট দেন সেখানেই তিনি তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানকে লিড দিতে পারেননি। এমনকি সম্মতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, আখরুজ্জামানের বুথে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩৪৪। অন্যদিকে ওই বুথেই কংগ্রেস প্রার্থী মর্তুজা হোসেন বকুল পেয়েছে ৫৪০ ভোট।। সম্মতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ পেয়েছেন ৭৯০৮ ভোট , তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান পেয়েছেন ৫১৭৪ ভোট। লোকসভা নির্বাচনের এই শোচনীয় ফলাফললের কারণ জানার জন্য মন্ত্রী আখরুজ্জামানকে ফোন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। তবে রঘুনাথগঞ্জ -২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইউসুফ শেখ বলেন," এই বিধানসভা এলাকায় রাহুল গান্ধীর 'ম্যাজিক' অনেকটাই কংগ্রেসের পক্ষে কাজ করেছে।। কংগ্রেস কর্মীরা এখানে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেছিল এই ভোটে নরেন্দ্র মোদির সাথে রাহুল গান্ধীর লড়াই। এই লড়াই মমতা ব্যানার্জির লড়াই নয়। এখানকার ভোটাররা সেই কথা বিশ্বাস করে কংগ্রেসকে অনেকে বেশি ভোট দিয়েছে।" 
  • Link to this news (আজকাল)