• ‌অধীর গড়ের পতন, কী বলছেন ম্যান অফ দ্য সিরিজ হুমায়ুন'
    আজকাল | ০৮ জুন ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য:‌ ‘‌দলকে জেতানোর জন্য যা দরকার হবে তার সবটাই করব’‌। দাবি মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে এবার কেন্দ্রে সরকার গড়তে বিজেপিকে নির্ভর করতে হচ্ছে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর। নির্বাচনে এরাজ্যে যে কটি উল্লেখযোগ্য ফল হয়েছে তার মধ্যে একটি হল বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও টানা পাঁচবারের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর হার ও প্রথমবার নির্বাচনে লড়তে নেমে ক্রিকেটার ও তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের জয়। একেবারেই জায়ান্ট কিলিং। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ইউসুফ হলেও স্থানীয়দের মতে ম্যান অফ দ্য সিরিজ হুমায়ুন। তাঁর সম্পর্কে বলা হচ্ছে, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় সমস্ত সংখ্যালঘু ভোট ইভিএম বন্দি করতে তিনিই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। নিজে হুমায়ুন কী বলছেন? ‘‌হ্যাঁ, আমি লড়ে গেছি এবং সফলও হয়েছি।’‌ হুমায়ুনের উত্তর। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ভোটের আগে আপনি গরম গরম ভাষণ দিয়ে পুরোপুরি সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ঘটিয়েছিলেন। এটা কি সত্যি? ‘‌হ্যাঁ, করেছি। রাজনীতি করতে এসেছি। আমার লক্ষ্য দলকে জেতানো। মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জিকে আরও একটি আসন উপহার দেওয়া। তার জন্য যা যা করা দরকার আমি সব করব। আর এই কাজ তো অধীর নিজেও আমার বিরুদ্ধে করেছিলেন। জেলায় যখন আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিধানসভা ভোটে লড়েছিলাম, তখন আমার বিরুদ্ধে রবিউল আলম চৌধুরীকে অধীর দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই ভোটে অধীর আরেকটি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে গিয়ে আমার সম্পর্কে বলেননি?’‌ হুমায়ুনের খোলামেলা উত্তর। কিন্তু এটাকে তো বলা হয় ‘‌অধীর গড়’‌। মুখের কথা কেড়ে নিয়ে হুমায়ুনের প্রতিবাদ, ‘‌কে বলেছে এটা অধীর গড়? বহু আগে থেকেই এই জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী ছিল। এই বহরমপুর বিধানসভায় একসময় কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন শঙ্কর পাল। আমরা তখন কংগ্রেসে। অধীর প্রাক্তন সেচমন্ত্রী এবং আরএসপি’‌র নেতা দেবব্রত ব্যানার্জিকে এই কেন্দ্র থেকে জিতিয়েছিলেন। জেনে রাখুন এই যে ‘‌রবিনহুড’‌ মার্কা ইমেজ সেটা কিন্তু তৎকালীন বামেদের সাহায্যেই তৈরি হয়েছিল। আর যদি কংগ্রেসের কথা বলেন তো জেনে রাখুন, আমি অধীরের অনেক আগে থেকেই কংগ্রেস করতাম।’‌ হুমায়ুনের সংযোজন, এত বছর ধরে অধীর সাংসদ হিসেবে থেকেও বহরমপুরের উন্নয়ন সেভাবে করতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘‌মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন মডেলকে আরও বেশি করে এই জেলায় কার্যকর করার স্বার্থেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের প্রচার করেছিলাম।’‌ ভবিষ্যতেও দরকার পড়লে আবার একই কৌশলে খেলতে তিনি রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন। তাঁর কথায়, ‘‌মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে এবং ভবিষ্যতে এরাজ্যে অভিষেক ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে যে কোনও তাস খেলব। আমি মমতা ও অভিষেকের সৈনিক।’‌
  • Link to this news (আজকাল)