বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার একাধিক হাড়, বাংলাদেশি সাংসদ আনারের কিনা নিশ্চিত নয় সিআইডি ...
আজকাল | ০৯ জুন ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মিলল বিভিন্ন আকৃতির বেশ কিছু হাড়।গ্রেপ্তার সিয়ামের দাবি, এই হাড় বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের। তবে তাতে নিশ্চিত নয় সিআইডি।এমপি আনার হত্যা মামলায় অন্যতম সন্দেহভাজন ব্যক্তি সিয়াম হোসেনকে নিয়ে রবিবার ওই খাল ও এর সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালান সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তারা।কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা দল (ডিএমজি) ও ভারতীয় নৌ সেনাদের সঙ্গে নিয়েই এদিন সিআইডির তদন্তকারী সদস্যরা বিজয়গড় বাজার থানার অন্তর্গত কৃষ্ণমাটি বাগজেলা খাল এলাকায় আসেন। এলাকা শনাক্তকরণের পরেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানোর পর এই হাড় উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যেই এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) কর্মকর্তারাও।সিআইডির তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, বাগজোলা খালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো মানুষের হাড় বলে মনে করা হচ্ছে।’এমপি খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তাদের একজন সিয়াম, অন্যজন জিহাদ হাওলাদার। এর আগে জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকবার ওই খালে অভিযান চালান সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে নৌবাহিনীর সদস্য, ডুবুরি নামিয়ে, জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হলেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি।এরপর আজ মূল অভিযুক্ত সিয়ামকে নিয়ে এসে আদতে কিছু পাওয়া যায় কি না সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন অন্তকারী কর্মকর্তারা।জানা গেছে, এর আগে গ্রেপ্তার হাওয়া জিহাদ যে জায়গার কথা বলেছিলেন, তার থেকে ভিন্ন জায়গার কথা বলেছেন সিয়াম। সেই জায়গাতেই এদিন তল্লাশি চালানো হয়। সিয়ামের দাবি, এগুলো বাংলাদেশের এমপি আনারের শরীরের হাড়।গত শুক্রবারই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।গতকাল শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয় সিয়ামকে। আদালত আগামী ১৪ দিনের জন্য তাকে সিআইডি হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য প্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে তাঁকে খুন ও লাশ লোপাটের কাজে যুক্ত ছিলেন এই সিয়াম। নিউটাউনের অভিজাত ওই সঞ্জীভা গার্ডেনের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে তাতেও সিয়ামকে দেখা যায়।