ক্রিকেট হোক বেসবল, সচিন তো সচিনই! বেদম ধোলাই শাস্ত্রীকে
২৪ ঘন্টা | ০৯ জুন ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আজ বাইশ গজের 'সুপার সানডে'। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখবে বাইশ গজের 'মাদার অফ অল ব্য়াটল'। ফের ভারত-পাক মহারণ (IND vs PAK, T20 World Cup)। ওয়াঘার দুই পারের দুই দেশের লড়াই মানেই হাইভোল্টেজ। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বিপুল আগ্রহ ও উত্তেজনা থাকে এই ম্য়াচ ঘিরে। সে যে ফরম্য়াটেই বা যে ইভেন্টে খেলা হোক না কেন। আর দেশ-বিদেশের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার এই মুহূর্তে রয়েছেন মার্কিন মুলুকে। ইন্দো-পাক দ্বৈরথের আগে চলে এসেছেন 'ক্রিকেট ঈশ্বর' সচিন তেন্ডুলকরও (Sachin Tendulkar)। আর তিনি তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ রবি শাস্ত্রীকে (Ravi Shastri) নিয়ে নেমে পড়লেন নেটে। তবে এই নেট কিন্তু ক্রিকেটের নেট নয়। বেসবলে মাতলেন সচিন-রবি।আমেরিকায় অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ক্রিকেট খায় না মাথায় দেয়। সেই দেশে ক্রিকেটের প্রচারের জন্য়ই প্রথমবার বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছে। আমেরিকা বোঝে রাগবি, বাস্কেটবল, বেসবল ও ফুটবল। সচিন নিউ ইয়র্কে এসে বেসবলের স্বাদ নিলেন। কে বলবে, তিনি বেসবল খেলছেন। উইকেট সাজিয়ে বেস বল খেললেন তিনি। সচিনকে বল করার গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শাস্ত্রী। প্রাক্তন স্পিনারকে বেদম ধোলাই দিলেন সচিন। ক্রিকেট হোক বেসবল, সচিন তো সচিনই! যদিও শাস্ত্রী মার খেয়েও ধারাভাষ্য় দিলেন। কখনও বললেন খেলা শেষ, তো কখনও বললেন বল মাঠের বাইরে। এই ভিডিয়ো আইসিসি শেয়ার করেছে। সচিনের বেসবল দক্ষতা দেখে অনেকেই মোহিত হয়েছেন। ভারত-পাক ম্য়াচের প্রসঙ্গে সচিন আইসিসি-কে বলেছেন, 'ভারত-পাকিস্তান সবসময় বড় ম্যাচ, আনন্দদায়ক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমার প্রথম বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ১৯৯২ সাল অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে যতগুলি ম্যাচ খেলেছি, সবই ছিল অত্য়ন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। আমি জানি দুই দলই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ম্য়াচের জন্য় ভারতের প্রতি আমার শুভকামনা একটু বেশিই থাকবে।'আমেরিকার অন্য় কোনও শহরে কেন হচ্ছে না ভারত-পাক মহারণ? কেনই বা দ্বিতীয় আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও ভেন্য়ুকে বেছে নেওয়া হয়নি। নিউ ইয়র্ককে অগ্রাধিকার দেওয়া কারণ অত্য়ন্ত স্পষ্ট। ৭ লক্ষ ১১ হাজার ভারতীয়র পাশাপাশি ১ লক্ষ পাকিস্তানির বসবাস এই নিউ ইয়র্ক শহরেই। বোঝাই যাচ্ছে ওয়াঘারের দুই পারের দুই দেশের এত মানুষ আর কোথাও নেই। ২০২৩ সালে ভারত-পাক তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। দু'বার এশিয়া কাপে। প্রথম ম্য়াচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্য়াচ ভারত জিতে যায়। এরপর বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল আহমেদাবাদে। সেবারও শেষ হাসি হাসেন রোহিতরাই।