• বাংলার ভাগ্যে মাত্র ২ রাষ্ট্রমন্ত্রী
    আজকাল | ১০ জুন ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: মাত্র ২টি রাষ্ট্রমন্ত্রী পেল বাংলা। তৃতীয় এনডিএ সরকারে মন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য শান্তনু ঠাকুর। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি বালুরঘাটের সাংসদ এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আজ সকালে হবু মন্ত্রীদের সকাল ১১টায় চা চক্রে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বাংলার এই দু সাংসদকে দেখা যায়। এই প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন সুকান্ত মজুমদার।দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'দল যখন যে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্বই পালন করব। রাজ্যসভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে নানান সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়েছি, সেগুলি পালন করেছি। এখন রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হচ্ছে, সেই দায়িত্বও পালন করব।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সামিল হওয়ার কারণে দলের রাজ্যসভাপতি পদ ছাড়তে হবে সুকান্তকে। এই বিষয়ে নিজস্ব পছন্দের কথা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, 'দল দায়িত্ব দিলে ওয়ারটালু থেকেও লড়তে হবে আবার পলাশি থেকেও লড়তে হবে। এখানে ব্যক্তিগত ইচ্ছার কোনও ব্যাপার নেই।' ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে রাজ্যসভাপতির পদকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় আগামী ২ থেকে তিনমাসের মধ্যে রাজ্য সভাপতি পদে বদল আনা হবে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। তাঁকে ফোন করে সকাল সাড়ে ১১টায় পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। অন্যদিকে, ফের একবার মন্ত্রী হওয়া শান্তনু ঠাকুর জানান, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কারণ, তাঁরা নিজেদের বিষয়, সম্পত্তি ফল ওপারে রেখে ভারতে এসেছেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার একসঙ্গে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, 'সেই প্রক্রিয়ার জন্য আমি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলব।' তিনি জানান, এনআরসি কোনও ব্যাপার নয়। ক্যা বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন মূল বলে জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর কথায়, 'নিপীড়িত এবং প্রতারিত মানুষ তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই দায়িত্ব পালন করেছে কেন্দ্র।' ২০১৯ সালে বাংলা থেকে ১৮টি আসনে জিতলেও কোনও পূর্ণ মন্ত্রী করেনি বিজেপি নেতৃত্ব। এবারও সেই পথে হাঁটল তৃতীয় এনডিএ সরকার। সে প্রসঙ্গে অবশ্য শান্তনু বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্ত।' তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন কটাক্ষ করে বলেন, 'বাংলা থেকে দুজন সাংসদকে হাপ প্যান্ট মন্ত্রী করা হয়েছে।'রবিবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দেশের হবু মন্ত্রীদের সঙ্গে চা-চক্রে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সরকার গঠনের প্রথম ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তিনি নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (আজকাল)