• '৬০ শতাংশ...'! ধুন্ধুমার ওয়াসিম-ওয়াকারের, মহাযুদ্ধে দুই মেরুতে দুই মহারথী
    ২৪ ঘন্টা | ১০ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আজ বাইশ গজের 'সুপার সানডে'। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখবে বাইশ গজের 'মাদার অফ অল ব্য়াটল'। ফের ভারত-পাক মহারণ। ওয়াঘার দুই পারের দুই দেশের লড়াই মানেই হাইভোল্টেজ। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বিপুল আগ্রহ ও উত্তেজনা থাকে এই ম্য়াচ ঘিরে। সে যে ফরম্য়াটেই বা যে ইভেন্টে খেলা হোক না কেন। ভারত-পাক ম্য়াচের উত্তেজনায় ফুটছেন ওয়াঘার ওপারের দুই প্রাক্তন মহারথী পেসার ওয়াসিম আক্রম ও ওয়াকার ইউনিস।বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেল বড় ম্য়াচের আগে কথা বলেছেন দুই পাক ক্রিকেটারের সঙ্গে। বোঝা যাচ্ছে যে,  মহাযুদ্ধে দুই মেরুতে দুই মহারথী। ওয়াকারের বাজি পাকিস্তান। ওয়াসিম সাফ জানিয়েছেন ভারতই শেষ হাসি হাসবে। ওয়াকার বলেন, 'আমার হৃদয় বলছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত, আমি নিউ ইয়র্কের পিচ দেখে যা বুঝলাম, এই পিচ একেবারেই পেস বোলারদের সহায়ক। আমি বলব ঠিক এই পেসারদের কারণেই নিউ ইয়র্কে পাকিস্তান এগিয়ে।' ওয়াকারের তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে আক্রম বলেন, 'ভারতের ফর্ম যদি দেখি, তাহলে বলব, ভারত এমনিই এগিয়ে রয়েছে। এই ম্য়াচে ওরা ফেভারিট হয়েই নামবে। আমি ৬০ শতাংশ ভারতকে এগিয়ে রাখব। পাকিস্তানকে ৪০ শতাংশ। কিন্তু এটা টি২০আই। একটা ভালো ইনিংস বা ভালো স্পেল দ্রুত সব বদলে দিতে পারে। আমার মনে হয় এই খেলার জন্য় সকলে মুখিয়ে রয়েছেন।আমেরিকায় অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ক্রিকেট খায় না মাথায় দেয়। সেই দেশে ক্রিকেটের প্রচারের জন্য়ই প্রথমবার বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছে।আমেরিকার অন্য় কোনও শহরে কেন হচ্ছে না ভারত-পাক মহারণ? কেনই বা দ্বিতীয় আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও ভেন্য়ুকে বেছে নেওয়া হয়নি। নিউ ইয়র্ককে অগ্রাধিকার দেওয়া কারণ অত্য়ন্ত স্পষ্ট। ৭ লক্ষ ১১ হাজার ভারতীয়র পাশাপাশি ১ লক্ষ পাকিস্তানির বসবাস এই নিউ ইয়র্ক শহরেই। বোঝাই যাচ্ছে ওয়াঘারের দুই পারের দুই দেশের এত মানুষ আর কোথাও নেই। ২০২৩ সালে ভারত-পাক তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। দু'বার এশিয়া কাপে। প্রথম ম্য়াচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্য়াচ ভারত জিতে যায়। এরপর বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল আহমেদাবাদে। সেবারও শেষ হাসি হাসেন রোহিতরাই।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)