• বুমরা ম্যাজিকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন, বিশ্বমঞ্চে ৭-১ করল ভারত...
    আজকাল | ১০ জুন ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। হারা ম্যাচ জিতল ভারত। বিশ্বমঞ্চে ৭-১। ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকল বোলাররা। মাত্র ১১৯ রান নিয়েও কীভাবে জিততে হয় দেখিয়ে দিলেন যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা।‌ রবিবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারল ভারত। জঘন্য ব্যাটিংয়ের পর প্রায়শ্চিত্ত টিম ইন্ডিয়ার। ব্যাটারদে‌র মুখ পোড়ার হাত থেকে বাঁচাল বোলাররা। তিন বছর আগের স্মৃতি ফেরার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত দারুণভাবে ফিরে এল টিম ইন্ডিয়া। তার সিংহভাগ কৃতিত্ব বুমরার। তিন উইকেট নেন ভারতের তারকা পেসার। তারমধ্যে রয়েছে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানের মূল্যবান উইকেট। এছাড়াও ২৪ বলের মধ্যে ১১টি ডট বল দেন। শুরুটা ভাল করার পরও আত্মসমর্পণ। এটাই পাকিস্তান। হারের ফলে শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হল বাবরদের। প্রথম ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারার পর আবার ব্যর্থ গ্রিন আর্মি। প্রথমে ব্যাট করে নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফদের কাছে আত্মসমর্পণ ভারতীয় ব্যাটারদের। জঘন্য ব্যাটিং। পুরো ৫০ ওভার টিকতে পারেনি ভারত। ১৯ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট। সর্বোচ্চ রান ঋষভ পন্থের। ৩১ বলে ৪২ রান করে আউট হন ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটার‌। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নাসাউয়ের বিতর্কিত পিচের পুরো ফায়দা তোলে পাক পেসাররা। তিনটে করে উইকেট নেন নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ। জোড়া উইকেট মহম্মদ আমিরের। তবে তাঁদের কৃতিত্ব দিলেও, সমান দোষ ভারতীয় ব্যাটারদের। ৩০ রানে ৭ উইকেট! ভারত না আয়ারল্যান্ড ব্যাট করছিল বোঝা দায়। একটা সময় ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান ছিল ভারতের। শেষ ৭ উইকেট ছুড়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে অতি আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে গিয়েই পতন। পরিকল্পনাহীন ব্যাটিং। ক্রমাগত উইকেট হারানো সত্ত্বেও পার্টনারশিপ গড়ার কোনও চেষ্টা নেই। প্রত্যাশা মতোই টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাবর। রোহিত শর্মা ছক্কা হাঁকিয়ে শুরুটা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১২ বলে ১৩ রানে আউট হন। ব্যর্থ বিরাট কোহলিও। ৩ বলে ৪ রান করেন। তিন ওভারের মধ্যে দলের দুই সেরা ব্যাটার ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় ভারত। এদিন নিখুঁত ইনিংস না খেলতে পারলেও স্কোরবোর্ডে গুরুত্বপুর্ণ রান যোগ করেন ঋষভ পন্থ। তবে অর্ধশতরান পাননি। ৩১ বলে ৪২ রান করে আউট হন। তাঁকে কিছুটা সঙ্গত দেন অক্ষর প্যাটেল। ১৮ বলে ২০ রান করেন। বাকিরা এলেন এবং গেলেন। ডাহা ব্যর্থ ভারতের মিডল অর্ডার। কেউই দু'অক্ষরের রানে পৌঁছতে পারেনি। সূর্যকুমার যাদব (৭), শিবম দুবে (৩), হার্দিক পাণ্ডিয়া (৭), রবীন্দ্র জাদেজা (০) ব্যর্থ। আইপিএলের ফর্মের বিচারে শিবম দুবেকে নেওয়ার জন্য না হাত কামড়াতে হয় রোহিতদের। শুধুমাত্র ব্যাট হাতে ব্যর্থই না, মহম্মদ রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ ফেলেন দুবে। তখন পাক ওপেনার ফিরে গেলে অনেক আগেই জয় নিশ্চিত করে ফেলতে পারত ভারত। অল্প রান তাড়া করতে নেমে ঠিক ভারতের ইনিংসের পুনরাবৃত্তি। ২৬ রানে ১ উইকেট থেকে ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শুরুটা ভাল করে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান জুটি। ১৩ রান করে পাকিস্তানের অধিনায়ক আউট হওয়ার পরও দলকে এগিয়ে নিয়ে যান রিজওয়ান। ১০ ওভারের শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান ছিল পাকিস্তানের। ম্যাচ বাবরদের দখলেই ছিল। কিন্তু তারপর ৩১ রানে ৪ উইকেট হারায়। দুর্দান্ত যশপ্রীত বুমরা। শুরুতেই বাবরকে তুলে নেন। তারপর রিজওয়ানকে বোল্ড করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। এটাই টার্নিং পয়েন্ট। অল্প রানের পুঁজি নিয়ে নতুন বল বুমরাকে দেওয়া উচিত ছিল রোহিতের। কিন্তু অর্শদীপ সিং এবং মহম্মদ সিরাজকে দিয়ে শুরু করেন। তবে বুমরা বল পেতেই ম্যাচের রং বদলে দিলেন। ৪৪ বলে ৩১ রান করে আউট হন রিজওয়ান। এখানেই পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন উসমান খান, ফখর জামান। জোড়া উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়া। টি-২০ ক্রিকেটে ভারতীয় বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটে নেওয়ার নজির গড়লেন হার্দিক। তাঁর সংগ্রহ ১৩ উইকেট। পেরিয়ে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমার এবং উমর গুলকে। 
  • Link to this news (আজকাল)