আকস্মিক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে মেট্রোয় বিদ্যুতের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিশেষ লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি ব্যবহার করে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আগেই জানিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
চলতি মাসেই তাইওয়ানের একটি সংস্থাকে ওই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। চুক্তির শর্ত মেনে ওই সংস্থা দেশেই লিথিয়াম আয়রন ব্যাটারি উৎপাদন করবে। ওই পরিকল্পনার আওতায় প্রথম ধাপে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সেন্ট্রাল স্টেশনে প্রথম ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (বিইএসএস) তৈরির কাজে হাত দিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মোট চারটি বিইএসএস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইনভার্টারের সমন্বয়ে মেট্রোর ওই বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। প্রসঙ্গত, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির তুলনায় লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকায় ওই ব্যাটারিকে তুলনামূলক ভাবে পরিবেশ বান্ধব মনে করা হয়।
নতুন ব্যবস্থায়, সেন্ট্রাল স্টেশনে একটি ৬.৪ মেগাওয়াটের শক্তি সঞ্চয় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। গ্রিড বিপর্যয়ের মতো বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে ওই ব্যবস্থা থেকে বিদ্যুতের জোগান মিলবে। সে ক্ষেত্রে সুড়ঙ্গের মধ্যে কোনও ট্রেন থমকে গেলে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে ওই ট্রেন চালিয়ে পরের স্টেশনে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে ট্রেন বিগড়ে গেলে ওই প্রযুক্তি কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর দমদম থেকে টালিগঞ্জের মধ্যের অংশে চাহিদার সময়ে যে কোনও জায়গায় দুই মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগান ওই ব্যবস্থা থেকে মিলবে। মেট্রো কর্তাদের আশা, চাহিদার সময়ে বিদ্যুৎ না কিনে ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে খরচের একাংশও তাঁরা সাশ্রয় করতে পারবেন।