তীব্র গরম ও আর্দ্রতার প্রভাব পড়েছে বারাসত ১, দেগঙ্গা ও আমডাঙা ব্লকের রবিবারের বাজারে। অন্যান্য দিনের মতো পসরা নিয়ে বসেননি বহু ব্যবসায়ী। ক্রেতাও ছিল কম।
রবিবার ছুটির দিনে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় থাকে বেশি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও এই বাজারে আসেন অনেকে। গত কয়েক মাস ধরে টানা গরমেও বাজারে ক্রেতারা এসেছেন বাজার করতে। বিক্রেতারাও আনাজ, মাছ, মুরগি, খাসির মাংস বিক্রি করেছেন। বাজারে জোগানও ছিল পর্যাপ্ত। তবে ব্যতিক্রম ছিল জুন মাসের দ্বিতীয় রবিবার।
বারাসত ১ ব্লকের বারাসত, দত্তপুকুর, বামনগাছি, আমডাঙা ছাড়াও দেগঙ্গায় বসে বড় বাজার। রাস্তার দু’পাশে পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। ঢাউস করা থাকে আনাজ। একশো কেজির বেশি মাছ-মাংস বিক্রি করেন একেক জন বিক্রেতা। সপ্তাহের এই দিন মাংসের দোকানে পড়ে লম্বা লাইন। রবিবার ছিল ব্যতিক্রম। কাজিপাড়ার বড় ভিটা এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলি বলেন, ‘‘কুড়ি-পঁচিশ বছর খাসির মাংস বিক্রি করছি। আজকের মতো রবিবার আগে দেখিনি। অন্য রবিবারে দশটির বেশি খাসি কাটি। আজ সেখানে মাত্র তিনটি কেটেছি। তা-ও মাংস বিক্রি করতে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ক্রেতার সংখ্যা ছিল অনেক কম।’’
আমডাঙা বাজারের আনাজ ব্যবসায়ী আজিজ মণ্ডল বলেন, ‘‘বয়স্ক ব্যবসায়ীদের অনেকেই আজ বাজারে বসেননি। মাঠ থেকে এই গরমে পটল, উচ্ছে, ঝিঙে, শাক তোলা যাচ্ছে না। গরমে ফসল শুকোচ্ছে মাঠেই। জল দিতে ব্যয় হচ্ছে বেশি। ফলে বাজারে সকলের কাছে জোগান কম। টাটকা আনাজ সকলে কাছে নেই।’’
দত্তপুকুর বাজারের আনাজ ব্যবসায়ী পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘রোদে বেগুন, ডাঁটাশাক সহ অন্যান্য আনাজ শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে বেশি কিনিনি। তবুও বিক্রি হয়নি সব আনাজ। রোদে মানুষ বেরোতে পারছেন না।’’
বারাসত বাজারের মুরগি মাংস বিক্রেতা কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অন্যান্য রবিবারের মতো মুরগির জোগান কম ছিল আজ। তবে বিক্রেতাদের ভিড় ছিল না।’’
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, অন্তত বুধবার পর্যন্ত গরম থেকে তেমন স্বস্তি মিলবে না। দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছেৃ। তবে তা খুবই স্থানীয় ভাবে। এর সঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির সম্পর্ক নেই। তাপপ্রবাহ না বইলেও অস্বস্তিকর এবং আর্দ্র আবহাওয়া বজায় থাকবে।