আমের ফলন এ বছর এমনিতেই কম। রফতানি কিছুটা কমলেও বাইরে যাচ্ছে ফলন। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাজারে আমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সামনে জামাইষষ্ঠী। এই পরিস্থিতিতে বাঙালি পাতে কতটা আম পৌঁছবে, তা নিয়ে রয়ে যাচ্ছে সংশয়।
হুগলির পোলবা, ব্যান্ডেল, সুগন্ধা, চুঁচুড়া, গোটু ও বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আমের বাগান রয়েছে। চাষিরা জানান, সময়ে বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমের মাপ ছোট হয়েছে। ফলনও কম। আম চাষি অভিজিৎ কোলের কথায়, ‘‘আমের মুকুল আসার সময়ে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তীব্র গরমে অসময়ে ঝরে পড়েছে মুকুল। তার উপরে বেড়েছে ওষুধের দাম ও শ্রমিকের খরচ। এ বছর আমের ফলন ৪০-৪৫ শতাংশ কম হয়েছে। সে কারণে দাম চড়া।’’
পোলবা দাদপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত গোল বলেন, ‘‘আমাদের প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমিতে আম চাষ হয়। এ বার যা ফলন হয়েছে, তাতে খরচের টাকা উঠবে কি না সন্দেহ!’’
হুগলি থেকে অসম, ত্রিপুরা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, চেন্নাই, দিল্লি-সহ অন্যান্য রাজ্যে পাড়ি দেয় আম। কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখেন চাষিরা। গোটু বাজার থেকে অন্যান্য বছর শ’খানেক আমভর্তি গাড়ি যায় ভিন্ রাজ্যে। এ বছর প্রায় ৬০ গাড়ি আমের চাহিদা থাকলেও পাঠানো গিয়েছে ৪০-৫০ গাড়ি আম। এক চাষির কথায়, ‘‘বাইরে যে পরিমাণ আম রফতানি হওয়ার কথা, সেটা অনেক কষ্ট করে পাঠাতে হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর জন্য আম কম পড়বে। দামও বাড়বে।’’
পান্ডুয়ার খোলা বাজারে হিমসাগর বিকোচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। অন্য জাতের আম কিলো প্রতি ৫-১০ টাকা কম। অথচ, গত কয়েক বছরে এখানে আমের কিলো বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। পান্ডুয়ার এক খুচরা ফল ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় আম তুলতে পেরেছি কম। জামাইষষ্ঠীর বাজারে আমের দাম প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা হতে পারে।’’