• মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কর্মীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন
    আজকাল | ১০ জুন ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে পেটে ও বুকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার গজনীপুরে। মৃত ব্যক্তির নাম, সনাতন ঘোষ (৪৪)। দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানা গেছে।মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে সনাতন ঘোষ আরও দু'জন সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে একটি মারুতি গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁর বাইক থামিয়ে সামনে থেকে বুকে পেটে গুলি করে পালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে হরিহরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সনাতনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    সনাতনের এক আত্মীয়া প্রিয়াঙ্কা ঘোষ জানিয়েছেন, 'সনাতন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গতকাল রাতেও সে তৃণমূল নেতাদের সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মারুতি নিয়ে কিছু দুষ্কৃতী তাঁর পেছনে ধাওয়া করে। তারপর তাঁর বাইকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। সনাতনের দুই সঙ্গী ভয়ে পালিয়ে গেল বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।' তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের গ্রামেরই বাসিন্দা তিনকড়ির সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সম্ভবত তারই আক্রোশে তিনকড়ির লোকজনই সনাতনকে খুন করেছে।যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই এলাকায় উৎপল ঘোষ নামে এক ব্যক্তি খুন হন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় সনাতনের। এরপর গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘদিন তিনি জেলে ছিলেন। সম্প্রতি জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন সনাতন। আর তার পরই এই খুন।

    যদি এই খুনের সাথে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলেরই নেতৃত্ব। হরিহরপাড়ার এক তৃণমূল নেতা নাম না প্রকাশের শর্ত বলেন -উৎপল খুনের পর তার পরিবার বিজেপিকে সমর্থন করতে থাকে। কিন্তু সনাতনের পরিবার তৃণমূল সমর্থক ছিল। লোকসভা ভোটেও তাঁরা তৃণমূলের পক্ষে কাজ করেছেন। পুরনো জমি বিবাদের জন্য এই খুন বলে ধারণা সকলের। বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক লালটু দাস বলেন, 'পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এর সাথে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।' তবে ঠিক কী কারণে সনাতনকে খুন হতে হল তা তদন্ত করে দেখছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।
  • Link to this news (আজকাল)