দিল্লিতে মন্ত্রী সুকান্ত, রাজ্য সভাপতি পদে মহিলা মুখেই ভরসা বিজেপির
প্রতিদিন | ১১ জুন ২০২৪
রমেন দাস: মমতাকে রুখতে ভরসা মহিলাই! সুকান্তর পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি হতে চলেছেন কোনও মহিলা? উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়ক অথবা প্রাক্তন এক সাংসদকে দায়িত্বে আনতে পারেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহরা। সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই রাজ্য বিজেপির সভানেত্রী হতে পারেন পরিচিত ওই মহিলা মুখ। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা কিছু বলতে চাননি।
সূত্রের দাবি, সংঘ ঘনিষ্ঠ এক মহিলা বিধায়ককে এই দায়িত্বে আনতে পারে বিজেপি। ওই বিধায়ক উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার একটি আসন থেকে জেতেন বলে দাবি। তবে বিজেপির আর এক অংশের দাবি, বিধায়ক নন, বিজেপির এক প্রাক্তন মহিলা সাংসদকে কাজে লাগানো হতে পারে এবার। নতুন রাজ্য সভাপতির নামের তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছেন তিনি! এর মধ্যেই জল্পনা-কল্পনা চলছে অন্যদিকেও। দিলীপ-ঘনিষ্ঠ কাউকে সরাসরি বিজেপির রাশ ধরতে হতে পারে! অথবা দিলীপ ঘোষ ফের পুরোনো পদে ফিরবেন বলেও চর্চা চলছে নিরন্তর।
তবে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, "আমাকে দল থেকে কিছু বলা হয়নি। এখনও আমিই রাজ্যের সভাপতি হিসেবেও রয়েছি।"
সুকান্ত না শুভেন্দু নাকি দিলীপ গোষ্ঠী - এই টানাপোড়েনের মধ্যেই তোপ দেগেছে তৃণমূল। দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, "দিলীপ গোষ্ঠী, সুকান্ত-শুভেন্দু নিয়ে ছন্নছাড়া হয়েছে বিজেপি। কে সভাপতি হবেন, কাকে ওঁদের দল দায়িত্ব দেবে, সেটা নিয়ে কিছু বলব না।"
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে অনেক রাজ্যেই আশানুরূপ ফল করেনি বিজেপি। বাংলায় মাত্র ১২ আসনেই থমকে গিয়েছে মোদির বিজয় রথ। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুভেন্দু-সুকান্ত এবং 'পুরোনো বিজেপি'র মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। বারবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর সঙ্গেই আরও এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ও সরব হয়েছেন।
সমস্ত বিতর্ক ছাপিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফের তৎপর হচ্ছে বিজেপি। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও সক্রিয় হতে চাইছে বাংলার বিজেপি। এখানেই উঠে আসছে মহিলা রাজ্য সভানেত্রীর নাম। লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, দেবশ্রী চৌধুরী, ফাল্গুনী পাত্র অথবা মালতী রাভা রায়দের নেতৃত্বেই নতুন করে অক্সিজেন খুঁজবে বিজেপি? উত্তর দেবে সময়।