‘বোমা বাঁধতে গিয়ে’ ঝলসে গিয়েছিলেন বুধবার, নন্দীগ্রামের সেই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হাসপাতালে
আনন্দবাজার | ১০ জুন ২০২৪
নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হল সেই বিজেপি কর্মীর। বুধবার নন্দীগ্রামে বোমা ফেটে গুরুতর জখন হন খেজুরির জাহানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা তপন ঢালি। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। আগুনে ঝলসে যাওয়ার পর থেকে তিনি তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৫ই জুন অর্থাৎ, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিন নন্দীগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ অঞ্চলের টাকাপুরায় গোকুল বেরা নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় গোকুল, তপন এবং শুভাশিস কর গুরুতর জখম হন। আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে তপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
গ্রামবাসীদের অনেকেরই দাবি, গোকুলের বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁরাও বোমা বাঁধছিলেন। তৃণমূলের দাবি ছিল, এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতেই এই বাড়িতে গোপনে বোমা বাঁধার কাজ করছিল বিজেপির লোকেরা। সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, ওই বাড়িতে আরও কয়েক জন ছিলেন। বিস্ফোরণের পরে পরেই আহতদের মোটর বাইক চাপিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এলাকা ছাড়ার আগে দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকটি বোমা পুকুরে ফেলে পালায় বলেও দাবি স্থানীয়দের। বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর পুলিশ বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কিছু অবৈধ বোমা উদ্ধার করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করে আগেই তোপ দেগেছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রাম জুড়ে নতুন করে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করেছে বিজেপি। ভোটে জিততে বিভিন্ন এলাকায় বোমা বন্দুক ব্যবহার করেছে। নন্দীগ্রাম এখন বিজেপির দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে।”
অন্য দিকে, সেই ঘটনা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে গুলি-বোমার বিরোধী। আমাদের সঙ্গে মানুষের সমর্থন আছে। তবে যদি কেউ এই ধরনের কাজে লিপ্ত থাকে, তার বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”