বাড়িতে ঢুকে ভয় দেখিয়ে গয়না লুট করে চম্পট দিল এক ব্যক্তি। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শিশুর মাথায় ঠেকিয়ে ভয় দেখায় সে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাল ব্যানার্জিপাড়ায়, দেবায়ন দে নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দেবাশিস মুখোপাধ্যায় নৈহাটির বাসিন্দা। দেবাশিস ও দেবায়ন পূর্ব পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দেবায়ন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। দেবাশিস তাঁর বন্ধুস্থানীয়। ঘটনার সময়ে দেবায়ন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর শাশুড়ি প্রথমে দেবাশিসের সঙ্গে কথা বলেন। দেবাশিস ঘরে ঢুকতে চাইলে পরিচিত হওয়ায় দরজাও খুলে দেন তিনি। অভিযোগ, এর পরেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে দেবাশিস। দেবায়নকে সে ফোন করে বাড়ি ফিরতে বলে। দেবায়নের দাবি, ‘‘আমি বাড়ি ফিরতেই আমার কাছে টাকা ধার চায় দেবাশিস। পাঁচ লক্ষ টাকা একসঙ্গে দিতে পারব না বলায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায় আমার মাথায়। আমি ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনও কথা শোনার মতো অবস্থায় ছিল না ও। সমানে টাকা চাইতে থাকে। এক সময়ে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার সন্তানের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়।’’ দেবায়নের দাবি, এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে হাতে পরে থাকা তিনটি সোনার আংটি খুলে দিয়ে দেন। সেগুলি নিয়েই দেবাশিস পালিয়ে যায় বলে তাঁর দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে দেবায়নের বাড়িতে দেবাশিসকে সপরিবার দেখা গিয়েছিল। সে কথা স্বীকার করে দেবায়ন বলেন, ‘‘আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে দেবাশিসের সঙ্গে আলাপ। খুব কথা বলত ছেলেটি। মাস ছয়েক আগে এক দিন আমাদের বাড়িতে সস্ত্রীক এসেছিল। আমাদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ গল্পও করে। কিন্তু সে বারও যাওয়ার সময়ে টাকা ধার চেয়েছিল। তবে এ বারের ঘটনায় আমরা হতবাক।’’
পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দেবাশিসের বিরুদ্ধে আগে কোনও অভিযোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। সব দিকই তদন্ত করে দেখা হবে।’’ দেবায়নের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।