• বিছানায় বিষাক্ত কালাচ! ২ বার কামড় খেয়েও 'কামাল দেখালেন' গৃহবধূ...
    ২৪ ঘন্টা | ১১ জুন ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ সরদার: ব্যতিক্রম, অবিশ্বাস্য এবং আশ্চর্যজনক। পর পর দুবার বিষধর সাপে কামড় দেওয়ার পরেও জীবন্ত সাপ ধরে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাজির হলেন এক গৃহবধূ। সাতসকালে এক গৃহবধুর হাতে জীবন্ত সাপ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় হাসপাতালের অন্যান্য রোগী সহ রোগীর পরিবার পরিজন সহ চিকিৎসকরা। সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার অন্তর্গত গঙ্গাধরপুর গ্রামে। বর্তমানে ওই বধূ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে কুলতলি থানার অন্তর্গত গঙ্গাধরপুর গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা হালদার। মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ভোর নাগাদ ঘুম থেকে উঠে কাজে বেরিয়ে যান স্বামী। এদিকে ওই গৃহবধূর অলক্ষ্যে একটি কালাচ সাপ বিছানায় ঢুকে পড়ে। তারপর ওই গৃহবধূকে পর পর দুবার কামড় দেয়। একবার কামড় খাওয়ার পরই সাপটি ধরতে যান ওই গৃহবধূ। তখন আবারও একবার কামড় দেয়। এরপরই ওই গৃহবধূ তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙিয়ে ঘটনার কথা বলেন। পরিবারের সদস্যরা বিছানা থেকে  কালাচ সাপটি উদ্ধার করেন। সাপটি একটি কৌটোয় ভরে ফেলেন। এরপর জীবন্ত সাপ নিয়ে ওই গৃহবধূ জামতলার কুলতলি-জয়নগর হাসপাতালে হাজির হন চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু মুহূর্তে ওই বধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।পরিবারের লোকেরা যদিও তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ওই গৃহবধূকে ৫০টি সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস দেওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে এসেছিলেন পূর্ণিমা দেবী। ফলে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি।’ পরিবারের লোকেরাও জানিয়েছেন যে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)