বাগদায় দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পড়ল ‘পোস্টার’, ‘সুদখোর’, ‘দালাল’ কারা?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুন ২০২৪
লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন পেয়েও গিয়েছে। এবার গোটা দেশে ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই সেটা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে আছে বাংলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্র। তার মধ্যে একটি হল—বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র। এখন এখানে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা হারাধন হালদারের নামে ‘সুদখোর’ পোস্টার পড়েছে। আর বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের দালাল বলে পোস্টারে ছয়লাপ হয়েছে এলাকা। এভাবে পোস্টার দিয়ে দাবি করা হয়েছে, এই দু’জন নেতাকে যেন উপনির্বাচনে প্রার্থী করা না হয়।
বাগদা বিধানসভার অন্তর্গত আশারু, জিয়ালা মোড়, চোয়াটিয়া–সহ নানা জায়গায় দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখে মুখ টিপে হাসছেন স্থানীয় মানুষজন। যার প্রভাব পড়তে পারে উপনির্বাচনে। যা বুঝতে পারছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। যে পোস্টার পড়েছে এলাকায় তাতে লেখা আছে, বাগদা বিধানসভায় ‘সুদখোর’ হারাধন হালদারকে আমরা চাই না। আর একটি পোস্টারে লেখা আছে, বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের ‘দালাল’ দুলাল বরকে আমরা চাই না। দুটি পোস্টারের তলায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রচারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাতেই তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
এই পোস্টার যদি রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছয় তাহলে হারাধন হালদার এবং দুলাল বর টিকিট পাবেন না এটা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ধস নেমেছে বাংলায়। তারপর আর কোনও ঝুঁকি নেবেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা। এই নিয়ে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাগদা পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন, ‘সোমবার নির্বাচন কমিশন বাগদার উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে। তারপরেই এই পোস্টার পড়ে গেল। জেনেছি এই বিধানসভায় বিজেপির টিকিটের জন্য ১৭–১৮জন দাবিদার আছেন। তাই এই পোস্টার পড়েছে। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল।’
বাংলার চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে আগামী ১০ জুলাই। সেক্ষেত্রে হাতে সময় আছে প্রায় একমাস। রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ, বাগদা, মানিকতলা বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। আর তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন ব্যস্ত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ, বাগদা বিধানসভায় জয়ী হয় বিজেপি। কিন্তু মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং খালি হওয়া বিধায়ক পদে তো উপনির্বাচন হবেই। আর তার আগেই পড়ল এই পোস্টার। যাতে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির।