• দফতরের ভিতরে TMCর মহিলা দলিত পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরে অভিযুক্ত দলেরই ব্লক সভাপতি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুন ২০২৪
  • তৃণমূলের মহিলা দলিত পঞ্চায়েত প্রধানকে তাঁরই দফতরে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের। আক্রান্ত পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি দলুই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি হীরালাল ঘোষ। ঘটনার পর পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে।

     

    বান্দিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিঙ্কি দলুইয়ের দাবি, সোমবার পঞ্চায়েত অফিসে নিজের ঘরে কাজ করছিলেন তিনি। তখন সেখানে ঢুকে পড়ে ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষের অনুগামী কয়াকজন মহিলা। বিনা প্ররোচনায় তাঁকে মারধর শুরু করেন ওই মহিলারা। এমনকী মাটিতে ফেলে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরে গুরুতর আহত হন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    পিঙ্কিদেবী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওরা আমাকে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। হীরালাল ঘোষ আমাকে বিভিন্ন দুর্নীতিতে মদত দেওয়ায় প্রস্তাব দেন। তোলাবাজি ও চুরি করতে আমার ওপর চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। আমি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ওপরে হামলা হয়েছে।

    অভিযোগ অস্বীকার করে হীরালাল ঘোষ বলেন, ‘আজগুবি অভিযোগ। নিজেই নিজের ওপর হামলা করিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।’

    ওদিকে ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা। পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে পঞ্চায়েত প্রধানের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন পঞ্চায়েত কর্মীরাও। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা জানান, ‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে দলিত মহিলাও পার পাচ্ছেন না। একজন মহিলার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করি। কিন্তু যারা নিজেদের মধ্যে এরকম বিবাদে জড়িত তারা মানুষের কী উন্নতি করবে?’

    ঘটনার পর পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বসেছে পুলিশ পিকেট। মোতায়েন হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)