• মমতার ঔদ্ধত্যেই রাজ্যে থমকে বন্দর তৈরির কাজ: জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুন ২০২৪
  • পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্যের কারণেই রাজ্যে এগোচ্ছে না গভীর সমুদ্র বন্দর। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর পদে বসে এই দাবি করলেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, কেন্দ্র কাজ করতে তৈরি। কিন্তু রাজ্য অনুমতি দিচ্ছে না। আসলে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও মাথাব্যথা নেই।

    এদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বন্দর তৈরি করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করে চালানো অসম্ভব। রাজ্য সরকারের কাছে অত টাকাই থাকে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে যৌথ উদ্যোগে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা NOC দেয়নি। ফলে গোটা প্রকল্প আটকে গিয়েছে। আমরা কাজ করতে তৈরি। রাজ্য সরকার সম্মতি দিলেই আমরা কাজে নেমে পড়ব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই বাধার কারণ মমকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্য। তিনি অন্যকে সফল হতে দেখতে পারেন না। এটা জাহির করতে চান যে শুরু তাঁর মর্জিই চলবে। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই তাঁর। সেজন্যই লক্ষ লক্ষ ছেলে রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছে। বন্দর হলে তো রাজ্য সরকারেরই আয় বাড়বে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা হতে দিতে চান না।’

    তাঁকে হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করায় তৃণমূলকে তুমুল আক্রমণ করেন শান্তনুবাবু। তিনি বলেন, ‘আমি হাফ প্যান্ট মন্ত্রী হলে রাজ্যের মন্ত্রীরা তো অন্তর্বাস মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে দেশের প্রত্যেকটা রাজ্যের মানুষ চেনেন। তিনি গোটা দেশে কাজ করতে পারেন। রাজ্যের মন্ত্রীকে রাজ্যের বাইরে কে চেনে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অন্যের উন্নতি দেখতে পারেন না। তাই একা রেলমন্ত্রী হয়ে বাকিদের হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বানিয়ে রেখেছিলেন। তখন তৃণমূলের একথা মনে ছিল না? কাজ করার ইচ্ছা থাকলে প্রতিমন্ত্রী হয়েও করা যায়। কিন্তু তৃণমূলের তো শুধু দুর্নীতি করতে জানে। কাজ করতে জানে না।’

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)