• নবান্নে হল TMCর দলীয় বৈঠক, মানিকতলায় সাধন পান্ডের স্ত্রীকে প্রার্থী করলেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুন ২০২৪
  • জল্পনাই সত্যি হল, মেয়ে শ্রেয়া পান্ডে নন, মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হতে চলেছেন প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডে। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের এক দলীয় বৈঠকে এমনই ঠিক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করতে মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে দলীয় বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ, অতীন ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার, অনিন্দ্য রাউত। এছাড়া ছিলেন মানিকতলা কেন্দ্রের অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলররা।

    বৈঠকে প্রয়াত বিধায়ক সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডেকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। দলনেত্রীর প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারেননি কেউ। মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সাধানবাবুর মেয়ে শ্রেয়াকে প্রার্থী করতে রাজি নন তিনি।

    এছাড়া কুণাল ঘোষকে মানিকতলা উপনির্বাচনের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন অতীন ঘোষ ও স্বপন সমাদ্দার। প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট করা হয়েছে অনিন্দ্য রাউতকে।

    দীর্ঘ রোগভোগের পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে প্রয়াত হন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে। আইনি জটিলতায় তার পর থেকে ২৮ মাস বিধায়কশূন্য ছিল মানিকতলা। রাজ্যের অন্য ৩ বিধানসভার সঙ্গে আগামী ১০ জুলাই সেখানে ভোটগ্রহণ। ১৩ জুলাই ভোটগণনা।

    প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরে কেন তৃণমূলের দলীয় বৈঠক হবে? কেন দলীয় কাজে ব্যবহার করা হবে করদাতাদের টাকায় তৈরি পরিকাঠামোকে? তাহলে প্রশাসনের সঙ্গে শাসকদলের ফারাক কোথায় থাকল? না কি ইচ্ছা করেই এসব করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিতে চান, শাসক ও দল একাকার?

    এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল জমানায় শাসক ও দল মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। মহাকরণ যখন প্রশাসনিক সদর দফতর ছিল সেখানে তৃণমূলে যোগদান কর্মসূচি হয়েছে। এখন নবান্নে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করার বৈঠক হচ্ছে। মানুষ সব দেখছে। সময় মতো তারা জবাব দেবে।’

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)