নির্ভয়া প্রকল্পের অধীনে শহরে বসবে আরও ৫৫০০ CCTV, পুজোর আগেই কাজ শেষের নির্দেশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুন ২০২৪
নির্ভয়া প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই শহরে বসেছে কয়েক হাজার সিসিটিভি। এবার এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দফায় শহরে আরও সাড়ে ৫ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে চলেছে লালবাজার। দ্বিতীয় দফায় সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। তবে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কারণে এতদিন ধরে এই প্রকল্প স্থগিত ছিল। ভোট শেষ হতেই দ্বিতীয় দফায় নির্ভয়া প্রকল্পে সিসিটিভি বসানোর জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ওয়ার্ক অর্ডার। দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে সেই বিষয়টিও সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার।
এর আগে এই প্রকল্পের অধীনে অর্থাৎ প্রথম দফায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে স্কুল কলেজগুলির আশেপাশে। তখন ২৫৬ টি স্কুল–কলেজে ১২০০টিরও বেশি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সেই সময় সিসিটিভি বসানোর জন্য শহরে ৬০০ কিলোমিটার নিজস্ব অপটিক ফাইবার কেব্ল বসানো হয়েছিল। এর জন্য ৩২ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। মূলত স্কুল এবং কলেজে মেয়েদের সুরক্ষার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছিল তখন।
লালবাজার সুত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় শহরজুড়ে যে সিসিটিকে বসানো হবে তার জন্য ৩৯ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফে ওয়ার্ক অর্ডার জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর ৩ মাসের মধ্যে অর্থাৎ পুজোর আগেই এই প্রকল্পে সিসিটিভি বসানোর কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। দ্বিতীয় দফায় যে ক্যামেরাগুলি লাগানো হবে সেগুলিও প্রত্যেকটি হবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। ধর্মীয় স্থান, স্কুল, কলেজ প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে সিসিটিভি বসানো হবে। কলকাতার পাশাপাশি ভাঙড়েও বসবে সিসিটিভি। মূলত এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত এলাকা ক্যামেরার নজরদারির বাইরে রয়েছে সেই সমস্ত ক্যামেরাগুলিতে সিসিটিভি বসানো হবে। তার জন্য আগেই সেই সমস্ত এলাকাগুলির নাম লালবাজারের কাছে পাঠিয়েছিল থানাগুলি। এরকম ৮ থেকে ১০টি জায়গার নাম প্রতিটি থানায় এলাকা থেকে লালবাজারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখার পর ৫৫০০ টি সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। তবে কিছু থানায় এলাকায় ক্যামেরা অকেজো হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলে আগেও অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, দরপত্র পাওয়া সংস্থাকে এই সমস্ত সিসিটিভি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।